ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
হাদিস ছাড়া কুরআনের ভিত্তি থাকে কি?
সাদিক মোহাম্মদ আলম
মুফাসসিল ইসলামের চ্যানেলে ঢাকার সময় ৩রা জুলাইয়ের আলোচনার বিষয় ছিলো:
এই আলোচনায় কিছু পয়েন্ট ছিলো যে হাদিস বাদ দিলে কুরআনের অথেনটিসিটি থাকে না। তাদের অন্যতম যুক্তি হলো: হাদিস বাদ দিলে নবী মুহাম্মদ কে ছিলো জানা যায় কি? হাদিসের কাছে না গেলে আপনি নবী মুহাম্মদের মা কে, বাবা কে এগুলো কোথায় পাবেন। ইনফ্যাক্ট কুরআন কার কাছে নাজিল হয়েছে সেটাই পরিস্কার বোঝা যায় না।
এখানে আমার বক্তব্য হলো:
এক.
অথেনটিসিটির স্বরূপ নির্ধারন
কোন কিছুর অথেনটিসিটি কিভাবে নির্ধারন হবে সেটা ঐ বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং বিষয়ের উপর ভিত্তি করে অথেনটিসিটি নির্ধারন পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।
ব্র্র্যান্ডের একটা জিনিস আসল না নকল, সেটা নির্ধারনের জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে। একটা ওষুধ জাল নাকি আসল বোঝার কিছু ক্রাইটেরিয়া, চিহ্ন আছে।
ধর্মের যে কিতাব সেটার অথেনটিসিটি একটু ভিন্ন ক্যাটাগরী। প্রথম কথা হলো এই অথেনটিসিটি নির্ধারন কিভাবে হবে, কে নির্ধারন করবে এবং তা কি সকলের জন্য সার্বজনীন কি না?
আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো: স্রষ্টার আছে যেমন সরাসরি প্রমান করার বিষয় নয়, তেমনি স্রষ্টা নেই সেটিও কেউ ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে প্রমান করতে পারে না।
যেখানে স্রষ্টার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমান করার উপায় নেই, ঠিক তেমনি একটি ঐশী গ্রন্থের অথেনটিসিটি আপনাকে ইনডাইরেক্ট উপায়ে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। ওমুক গ্রন্থ স্রষ্টার কাছ থেকে এসেছে এটা ১০০% প্রমাণ করার ঠিক ততটুকু সম্ভব যতটুকু স্রষ্টার অস্তিত্ব বা অনস্তিত্ব প্রমান করা সম্ভব।
নইলে বিশ্বাসের প্রয়োজন থাকতো না। এবং সেটা অন্তত কুরআন অনুসারে স্রষ্টার ইচ্ছাও নয়। তিনি মানুষকে বিশ্বাস করার স্বাধীনতা দিয়েছেন, সে চাইলে প্রকৃতিতে নির্দশন, নিজের মধ্যে নির্দশন থেকে বিশ্বাস করতে ও কৃতজ্ঞ করতে পারে অথবা নাও পারে।
সুতরাং এই অনুষ্ঠানের যে টাইটেল তার মধ্যে যে প্রেমিস আছে যে কুরআনে ভিত্তি থাকা না থাকা - সেটাতেই গন্ডোগোল। হাদিস তো দুরের কথা, কিসে কুরআনের ভিত্তি থাকে বা থাকে না - সেটা পরিস্কার ছাড়া; এই ডিবেট বেশি দূর এগোনো সম্ভব না।
দুই.
কুরআন ঘরের দরজা - কু্রআন কার কাছে নাযিল হয়েছে, তার পরিচয় কুরআন থেকে পাওয়া যায় কি?
নবী মুহাম্মদের বাবা কে, মা কে - এই তথ্যগুলো কুরআনের বার্তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
কুরআনের ফিলোসফিতে পার্সোনালিটি কাল্টের কোন স্থান নেই।
দেখেন কুরআন যে ব্যক্তির কাছে নাজিল হয়েছে তার অনেক এবং যতটুকু প্রয়োজন সে পরিচয় কিন্তু কুরআনে পাওয়া যায়।
কুরআন সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞানতার কারনে হয়তো আমরা কুরআন বর্হি:ভূত কিচ্ছা কাহিনী, গাল-গল্প, অনুমান ইত্যাদির স্মরণাপন্ন হয়ে থাকি যা আমাদের কু্রআনের মূল নীতি বা প্রিন্সপ্যালকে বুঝতে সহায়তা করে না।
কুরআন একটা নীতি সর্ম্পকিত বই, এখানে আপনি কিছু উপদেশ, সেই উপদেশ কখনো সরাসরি কখনো স্টোরি টেলিং বা কখনো ইতিহাসের পুন:উচ্চারনের আমাদের কুরআন শুনায়।
যেমন: ইউসুফ আ. নামে একজন দৃঢ়চিত্ত নবী ছিলেন যিনি অনৈতিক যৌন সম্পর্ক থেকে নিজেকে হেফাজত করতে পেরেছেন। তিনি অপজিট সেক্সের মাধ্যমে সিডিউসড হওয়ার মুখেও স্রষ্টাকে স্মরণ করে নিজেকে নৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছেন।
এখানে আমরা কিছু শিক্ষা পেতে পারি। এখানে ইউসুফের বাড়ি কোথায় ছিলো, তার মায়ের নাম কি ছিলো এগুলো কখনোই গুরুত্বপূর্ণ না।
একইভাবে নবী মুহাম্মদের উপরে নাজিল হওয়া কুরআনে তাঁর সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য আমরা কেন আশা করবো? বরং শিক্ষনীয় যে বিষয়গুলো প্রাসঙ্গিক সেগুলোই কুরআনে এসেছে এবং সেটাই হয়েছে।
কুরআনে বলে দেওয়া হচ্ছে যে যার কাছে এই কুরআন নাযিল হচ্ছে তিনি একজন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাকে এতিম ও পথ খুঁজে ফেরা মানুষ হিসেবে পেয়ে স্রষ্টা তাকে পথ দেখিয়েছেন। তিনি কোন পুরুষের পিতা নন। তিনি উচ্চতর নৈতিক চরিত্রের অধিকারী
কুরআনে নবী মুহাম্মদ সম্পর্কে কুরআন বলছে যে এই নবী যদি নিহত হয়, তোমরা কি মুখ ফিরিয়ে নিবে?
কুরআনে মুহাম্মদ শব্দটি সরাসরি এসেছে ৪ বার।
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত, তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম। তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম। - ৬৯:৪৪-৪৬
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। - ৩:১৪৪
তিন.
কুরআনের ফিলোসফি
কুরআনের ফিলোসফিতে পার্সোনালিটি কাল্টের কোন স্থান নেই।
কুরআনের অন্যতম ফিলোসফি হলো এখানে বার্তাবাহক মোটেই মুখ্য সাবজেক্ট নয়। যিনি অকল্পনীয় বিশ্বের স্রষ্টা, যিনি অনুপরমানুর মতো সুক্ষাতীসুক্ষ পার্টিকেলের সৃষ্টিকারী এবং একই সাথে কোটি কোটি গ্যালাক্সী, নক্ষত্র ও প্রসারমাণ মহাবিশ্বের স্রষ্টা - তার শান, তার অসাধারনত্বের কাছে কোন একজন ব্যক্তি কোন সাবজেক্ট না। এমনকি একজন রাসুলও স্রস্টার কাছে একজন মানুষ বই কিছু না।
যদি সে আমার নামে কোন মিথ্যা রচনা করত, তবে আমি তার ডান হাত পাকড়াও করতাম। তারপর অবশ্যই আমি তার হৃদপিন্ডের শিরা কেটে ফেলতাম। - ৬৯:৪৪-৪৬
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। - ৩:১৪৪
কু্রআন কার কাছে নাযিল হয়েছে, তার পরিচয় কি এটা নাকি কুরআন থেকে পাওয়া যায় না, এরকম একটা দাবী
মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যেকার কোন পুরুষের পিতা নয়, কিন্তু (সে) আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের খতম। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞাতা। - ৩৩:৪০
আর যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে ‘আর তা তাদের রবের পক্ষ হতে (প্রেরিত) সত্য, তিনি তাদের থেকে তাদের মন্দ কাজগুলো দূর করে দেবেন এবং তিনি তাদের অবস্থা সংশোধন করে দেবেন। - ৪৭:২
মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং তার সাথে যারা আছে তারা কাফিরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর; পরস্পরের প্রতি সদয়, তুমি তাদেরকে রুকূকারী, সিজদাকারী অবস্থায় দেখতে পাবে। তারা আল্লাহর করুণা ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করছে। তাদের আলামত হচ্ছে, তাদের চেহারায় সিজদার চিহ্ন থাকে। এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইনজীলে তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি চারাগাছের মত, যে তার কঁচিপাতা উদগত করেছে ও শক্ত করেছে, অতঃপর তা পুষ্ট হয়েছে ও স্বীয় কান্ডের উপর মজবুতভাবে দাঁড়িয়েছে, যা চাষীকে আনন্দ দেয়। যাতে তিনি তাদের দ্বারা কাফিরদেরকে ক্রোধান্বিত করতে পারেন। তাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের ওয়াদা করেছেন। - ৪৮:২৯
সাধারন ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে একটি কমন ধারনা হলো: ইসলামের সংবিধান হলো কুরআন এবং আধুনিক সময়ে যেসব সেকুলার সংবিধান করা হয় তা হলো "তাগুত"। বিষয়টি কি সত্যিই এরকম সাদা কালো? কুরআন কি সংবিধানি? একজন ইসলামে বিশ্বাসীর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে এই প্রশ্নের মিমাংসায় পৌছতে হলে আমাদের প্রথমে কয়েকটি কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে এগুতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে […]
মুসলিমদের জীবন বিধানের সকল মূলনীতি কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তোমার ওপর যে কিতাব (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে সকল বিষয়ের বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৮৯) দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ দেশের মুসলিমদের কোরআন দেখে শুদ্ধ করে পড়ার প্রতি গুরুত্ব থাকলেও ইসলামি জীবন বিধানের মৌলিক উৎস […]
১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের জন্য ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে’ যে মূলনীতিসমূহ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য যে সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ কর্তৃক পেশ করা হয়েছে তাতে অন্যতম তিনটি মূলনীতি হলো, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’। বস্তুত এই মূলনীতিসমূহ […]
নাসর হামিদ আবু যায়েদ: এক মুক্তচিন্তার কুরআন গবেষকের জীবনচিত্র পূর্ণ নাম: নাসর হামিদ আবু যায়েদ (Nasr Hamid Abu Zayd)জন্ম: ১০ জুলাই ১৯৪৩, তানতা, মিসরমৃত্যু: ৫ জুলাই ২০১০, কায়রো, মিসরপরিচয়: কুরআন গবেষক, সাহিত্য সমালোচক, ধর্মতাত্ত্বিক ও মুক্তচিন্তার ইসলামী চিন্তাবিদ 🎓 শিক্ষা ও পেশাজীবন নাসর হামিদ আবু যায়েদ কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা ও ইসলামি শিক্ষায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ […]
In this interview, the host discuss with Dr. Munther Younes of Cornell University to discuss his research on the transmission and evolution of the Qur'anic text. Dr. Younes is Reis Senior Lecturer of Arabic Language and Linguistics at Cornell University and a renowned expert in the Arabic language. They discuss the Arabic of the Qur'an, […]
আর রহমান দয়াময় সত্তা আল্লামাল ক্বুরআন তিনি শিক্ষা দিয়েছেন পঠন ক্ষমতা খালাক্বাল ইনসান তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষ আল্লামাহুল বায়ান তিনি তাকে শিক্ষা দিয়েছেন স্পষ্টভাবে বিবৃত করার ভাষা। - সুরা আর-রাহমান, আয়াত ১-৪ সুরা আর-রাহমান কুরআনের ৫৫তম সুরা এবং মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি সুরা। এই সুরার সুচনায় আমরা মানুষের পাঠ করার ক্ষমতা এবং কথা বলার […]
The concept of fractals in the Quran can be explored through the lens of recurring patterns in nature, self-similarity, and divine order. While the Quran does not explicitly mention "fractals" (a term coined in modern mathematics), it frequently describes natural patterns that align with fractal geometry, reinforcing the idea of a unified and recursive design […]