ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
কুরআন, পূর্ববর্তী জাতির উল্লেখ ও সুপার পাওয়ারদের উত্থান পতন
ওদের বলো, তোমরা পৃথিবীর দিকে দিকে ভ্রমণ করো এবং দেখ, তোমাদের পূর্বসূরিদের পরিণতি কী হয়েছিল? - ৩০:৪২
কুরআনে আমরা পড়ি আরব উপদ্বীপ ও তার আশেপাশের ঐতিহাসিক কিছু জাতি যারা স্ব স্ব সময়ে ও ভূমিতে সুপারপাওয়ার ছিলো। এরকম জাতির মধ্যে রয়েছে, আদ, সামুদ, ইরাম, সাবা, মাদাঈনবাসী ইত্যাদি। যখন মানবসভ্যতা বিশ্বব্যাপী এতটা বিস্তৃত হয় নি এবং ভূমধ্য এলাকার আশে পাশেই সীমিত ছিলো, সেই প্রেক্ষিতে কুরআনে উল্লেখ্য এ সকল জাতিগুলো তাদের স্থান ও কালের সাপেক্ষে যথেষ্ট সুপার পাওয়ার উল্লেখযোগ্য শক্তিধর জাতি ছিলো। ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক পাঠও তেমনটাই নির্দেশ করে। তাদের পতন, নিজ নিজ সময়ের এচিভমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলোর মধ্যে গভীর শিক্ষাও রয়েছে। পরিতাপ যে মুসলিমরা এ জাতি ও তাদের উত্থান ও পতনের বিষয়ে চরম অজ্ঞ ও উদাসীন।
এই বইটির বিষয়বস্তুকে সারাংশ করে তার একটি চমৎকার ইউটিউব ভিডিও রয়েছে যেখানে তিনি বিশ্ব নিয়ন্ত্রক জাতি সমূহের উত্থান পতনের মধ্যে যে শিক্ষা ও তা থেকে শিক্ষনীয় কিছূ মূলনীতি চমৎকার ভাবে তুলে এনেছেন যা কুরআনের পাঠকসহ যে কোন সচেতন মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডাচ আধিপত্য থেকে ব্রিটিশ, ব্রিটিশ থেকে আমেরিকা এবং আমেরিকাকে হটিয়ে চায়নার বিশ্ব মঞ্চে জায়গা করে নেওযার যে ধারাবাহিকতা তারই চমৎকার একটি ডকুমেন্টারি এটি।
তুমি কি দেখ নি, তোমার প্রতিপালক সুউচ্চ স্তম্ভের নির্মাতা আদ বংশের ইরাম গোত্রের কী পরিণতি করেছিলেন, যাদের সমতুল্য নির্মাতা এর আগে কোথাও সৃষ্টি করা হয় নি? আর সামুদ জাতির পরিণতিও কী হয়েছিল, যারা কোরা উপত্যকায় পাথর কেটে প্রাসাদ নির্মাণ করেছিল? আর বহু সেনাশিবিরের অধিপতি ফেরাউনের পরিণতি? ওরা সীমালঙ্ঘন করেছিল। পৃথিবীতে অশান্তি ও বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল। এরপর তোমার প্রতিপালক ওদের কৃতকর্মের অর্জন হিসেবেআজাবের কষাঘাত হানলেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই সবদিকে দৃষ্টি রাখেন। - ৮৯:৪-১৪
আর জাতিসমুহের উত্থান পতনের অন্যতম বড় নিয়ামক হলো অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভারসাম্য অথবা তার বিপরীতে অব্যবস্থা লুটপাট ও লাগামহীন লোভ।।
কুরআনেরও উপরে উল্লেখিত আয়াতের পরে যেটা এসেছে সেটা কিন্তু human pyschological tendency, greed & wealth distribution সম্পর্কেই।
৮৯:১৫-১৬. আসলে মানুষের অবস্থা এই যে, তার প্রতিপালক যখন তাকে পরীক্ষা করার জন্যে সম্মান ও প্রাচুর্য দান করেন, তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক (সঙ্গত কারণেই) আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করার জন্যে রিজিক সংকুচিত করেন, তখন সে বলে, আমার প্রতিপালক আমাকে অসম্মান করেছেন।
৮৯:১৭-২০. না, একথা সত্য নয়। আসলে (এটা তোমাদের কর্মফল) তোমরা এতিমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ করো না, অভাবী অসহায়কে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত করো না, অন্যের উত্তরাধিকারের প্রাপ্য সম্পদ নিজেরা আত্মসাৎ করো, আর ধনসম্পত্তির প্রতি তোমাদের আকর্ষণ আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।
কুরআন অতীত জাতির ইতিহাসকে উপস্থাপন করে এবং মানবজাতিকে তাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে শিক্ষা নিতে বলে (Quran 7:84, 7:103, 27:51, 27:69, 30:42, 37:73)। যে কোনও জাতি যে একটি ভুল জীবনধারা প্রতিষ্ঠা করে এবং অনুসরণ করে একই রকম পরিণতি ভোগ করবে (30:10, 47:10)। কুরআন প্রশ্ন করে এই লোকেরা কি সেই অঞ্চলগুলিতে ভ্রমণ করেনি যাতে তারা তাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে কিছু সতর্কতামূলক পাঠ নিতে পারে (32:26)? তাদের মন কান আছে, এবং চোখ শুনতে এবং দেখার জন্য প্রস্তুত নয় যে সেই ধ্বংসাবশেষগুলি কী বলে এবং প্রদর্শন করে?
কুরআন বিশেষভাবে সেইসব জাতির ইতিহাস বর্ণনা করে যাদের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে আরবরা তাদের দৈনন্দিন ভ্রমণে যাতায়াত করত (30:42)। তারা প্রায়ই তাদের আলোচনায় এই ধ্বংসাবশেষের কথা বলত। সুতরাং, কুরআন তাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানুষ তাদের ধ্বংসাবশেষের কথা বলে কিন্তু তাদের ধ্বংসাবশেষ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না - ভবিষ্যতের জাতি যদি তাদের মতো একই জীবনধারা অনুসরণ করেন তবে তারাও একই পরিণতি ভোগ করবে (Quran 12:109, 40:82)। (Source)
কুরআন গবেষক ড. সিরাজ ইসলামের গবেষণা ও লেখনী থেকে অনুবাদ জিব্রাইল হলেন আমাদের ভেতরে অনুপ্রেরণার শক্তি জিব্রাইল হলেন একটি কুরআনের রূপক (নোট ১) যা আমাদের মনের ভেতরে অনুপ্রেরণার প্রাকৃতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের গভীর চিন্তাভাবনার সময় এটি কার্যকর হয়ে ওঠে যখন এটি আমাদের কাছে সচেতনতা এবং অন্তর্দৃষ্টির ঝলক প্রকাশ করে। কুরআনে এই নামটি তিনবার এসেছে […]
সাধারন ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে একটি কমন ধারনা হলো: ইসলামের সংবিধান হলো কুরআন এবং আধুনিক সময়ে যেসব সেকুলার সংবিধান করা হয় তা হলো "তাগুত"। বিষয়টি কি সত্যিই এরকম সাদা কালো? কুরআন কি সংবিধানি? একজন ইসলামে বিশ্বাসীর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে এই প্রশ্নের মিমাংসায় পৌছতে হলে আমাদের প্রথমে কয়েকটি কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে এগুতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে […]
মুসলিমদের জীবন বিধানের সকল মূলনীতি কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তোমার ওপর যে কিতাব (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে সকল বিষয়ের বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৮৯) দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ দেশের মুসলিমদের কোরআন দেখে শুদ্ধ করে পড়ার প্রতি গুরুত্ব থাকলেও ইসলামি জীবন বিধানের মৌলিক উৎস […]
১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের জন্য ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে’ যে মূলনীতিসমূহ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য যে সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ কর্তৃক পেশ করা হয়েছে তাতে অন্যতম তিনটি মূলনীতি হলো, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’। বস্তুত এই মূলনীতিসমূহ […]