ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
এতিম প্রসঙ্গে সমাজের বাস্তবতা
সাদিক মো. আলম
এতিম প্রসঙ্গটি - তাদের অধিকার ও তাদের প্রতি দায়িত্বপূর্ণ নির্দেশ কুরআনের মূল্যবোধের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কুরআন যে নবীর স. কাছে নাজিল হয়েছে তিনি নিজেই ছিলেন তাঁর সমাজে একজন এতিম ও প্রান্তিক একজন। সর্বকালে, সকল সমাজেই এতিম মানেই সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিতদের অন্যতম। এতিম প্রসঙ্গে কুরআনে অনেকবার উল্লেখ আছে তাদের অধিকার প্রসঙ্গে, তাদের ব্যাপারে আইন প্রসঙ্গে এবং তাদের প্রতি কর্তব্যকে গুরুত্ব প্রদান করে।
আমরা হয়তো এতিমদের অধিকার প্রসঙ্গে জানি, কিন্তু তার বিপরীতে তাদের সাথে আমরা যা করি তার পুরোটাই কুরানিক নির্দেশের পরিপন্থি।
আসুন একটি তুলনা করা যাক কুরআনে এতিমদের প্রতি কি আচরন করার কথা আর আমাদের সমাজে, ধর্মের নামেই আমরা কি আচরণ করে থাকি:
কুরআনের নির্দেশ
আমাদের সমাজে যা করে থাকি
এতিমদের সাথে সদ্ব্যবহার (১২:৮৩, ৪:৩৬)
এতিমখানা ও মাদ্রাসায় পাবেন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্ব্যবহার, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন, বলাৎকার, ধর্ষণ ও হত্যার মতো আচরন।
এতিমদের জন্য সম্পদ ব্যয় (২:১৭৭), তাদেরকে ভরণপোষণ করানো (২:২১৫), তাদের জন্য ব্যয় করা, তাদের ব্যয়ভার নিজের ভাইয়ের মতো করা (২:২২০)
নিজ আত্নীয়দের মধ্যে যারা এতিম, তাদের খেয়াল না রাখা, তাদের জন্য ব্যয় না করা, বরং কেউ তাদের দিয়ে ব্যবসা করবে তাদের মুখাপেক্ষী হয়ে যাওয়া।
এতিমদের সম্পদ অন্যায়ভাবে না খাওয়া (৪:১০), তাদের সম্পদ / প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া (৪:২), অন্যায় ভোগের উদ্দেশ্যে এতিমের মালের কাছেও না যাওয়া (১৭:৩৪)
এতিমদের সাইনবোর্ড বানিয়ে তাদের নামে টাকা তুলে আত্নসাত করা, ভুয়া এতিম দেখিয়ে তাদের টাকা সরকারী কোষাগার থেকে তুলে ভক্ষণ করা, এতিদের জমি জাল দলিল ও মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে ফেলা।
সমাজকে এতিমদের দায়িত্ব নেওয়া (৫৯:৭)
এতিমদের দায়িত্ব ধর্মজীবিদের দেওয়া - ধর্মকে যারা বিনা পুঁজির ব্যবসা এবং আল্লাহর আয়াতকে অল্প মূল্যে বিক্রি করে থাকে
এতিমদের খাওয়ানো (৭৬:৮)
নিজ পরিবারের অর্ন্তভুক্ত করে নেওয়ার সামর্থ্য যাদের আছে তারাও এতিমদের খাওয়ানোর নির্দেশনা ও দায়িত্ব এতিমখানা নামের কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে হাওলা করে দিয়েছে।
এতিম মেয়েদের মায়েদের নিজ পরিবারে অর্ন্তভূক্ত করা বিয়ের বন্ধনের মাধ্যমে যেন এতিম মেয়েদের প্রতিপালনের হক্ক যথাযথভাবে পূরণ করা যায় (৪:৩)
এটাই একমাত্র বহুবিবাহের জন্য কারন দেওয়া হয়েছে কুরআনে
বিধবাদের প্রতি উদাসীনতা, পিতাবিহীন এতিম মেয়েদের জন্য কোন উদ্যোগ উদ্বেগ না থাকা।
এতিমের প্রতি কঠোর না হওয়ার কঠিন নির্দেশ (৯৩:৯)
গরু ছাগল পশুকে যেভাবে না মারা হয়, এতিমখানায় তার থেকেও নির্দয়ভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের কেবল প্রহারই করা হয় না, তাদের শিকল দিয়ে বেধে রাখা, অমানুষিক মুখস্ত করানো, ঘুমাতে না দেওয়া, পরিবারের স্নেহ থেকে বঞ্চিত করা সহ বলাৎকার ও যৌন হয়রাণী সবই করা হয়।
আমাদের সমাজে সাধারন মানুষের মধ্যে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে এতিমখানার নামে যে আয়োজন তার কতখানি এতিমের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার সাথে জড়িত আর কতখানি এতিমদের প্রকৃত প্রতিপালন, স্নেহ-মমতাময় পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ আর কতখানি একটা ব্যবসার মডেল, অসহায় শিশুদের উপর নিগ্রহ ও কঠোরতা সেটা অনেকে জানেন অনেকে জানেন না।
যারা জানেন না তাদের জন্য মিডিয়াতে উঠে আসা কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এখানে সন্নিবেশিত করা হলো। এর ফলোআপ হিসেবে কুরআনের প্রকৃত ”কল টু একশন” বা সত্যিকারের করণীয় নিয়ে ইক্বরার পক্ষ থেকে কিছু নীতি নির্ধারনী বিষয়ক রেকমেন্ডেশন আমরা হাজির করা ইচ্ছা রাখছি ভবিষ্যতে যার লিংক এই প্রতিবেদনে সংযুক্ত হবে।
এতিমদের তো নিকট আত্নীয়ের স্নেহে থাকার কথা, সেটাই স্বাভাবিক। এতিমদের অসহায়ত্বকে সাইনবোর্ড বানিয়ে এতিমখানার ব্যবসা কতটা ইসলামের মূল স্পিরিটের সাথে সংগতিপূর্ন?
আমাদের দেশে এতিমখানায় অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের উপর যে ধরনের নির্যাতন, জোর জবরদস্তি, বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পড়াশুনার যে চাপ সেটি কতখানি ইসলামিক?
এতিমখানায় সরকারী ভাতা না দিয়ে, এতিমের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেওয়া নিকটাত্নিয় (সে যদি অর্থনৈতিকভাবে দূর্বল হয়) পেলে সেটাই অধিক ভালো নয় কি?
ধর্ম পালনকে পেশা হিসেবে নেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় শিশুকে ভর্তি করানোর নিয়ত আসলে কতখানি ইসলামের আদর্শ ও কুরআনের শিক্ষার সাথে সংগতি পূর্ন?
আমাদের সমাজে ইসলাম নিয়ে যারা ভাবেন, চিন্তা করেন, লেখালিখি ও কথা বলেন, তাদের মধ্যে মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন, বলাৎকার, ধর্ষন, হত্যা নিয়ে কোন কথা বলতে শুনা যায় না কেন?
কেন এতিমদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনকে আমরা স্বাভাবিক মনে করছি? এই কি কুরআনে এতিমের অধিকার শিক্ষার বিপরীতে আমাদের কর্ম?
"কোরআন কীভাবে পড়বেন?" এই গভীর প্রশ্নটি অন্বেষণ করতে অধ্যাপক ডঃ জাসের আউদার সাথে একটি জ্ঞানগর্ভ অধিবেশন। এই ভিডিওতে, জাসের আউদার কুরআন বোঝার এবং ব্যাখ্যা করার নীতি এবং পদ্ধতি সম্পর্কে গভীরভাবে আলোচনা করেছেন, যা নতুন এবং অভিজ্ঞ উভয় পাঠকদের জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। প্রেক্ষাপটের তাৎপর্য, প্রতিফলনের গুরুত্ব এবং ব্যক্তিগত ও আধ্যাত্মিক বিকাশের উপর কুরআনের প্রভাব […]
মৃত্যুপারের অনন্ত জীবনে যখন প্রতিটি আত্মা তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করবে, সেদিন অপরাধীদের আক্ষেপ আর অনুশোচনার শেষ থাকবে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা সেই ভয়াবহ দিনের করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন, যখন পাপাচারীরা বারবার বলতে থাকবে- ১. হায়! যদি কিছু করতাম দুনিয়াতে যারা পরকালকে অস্বীকার করতো, তারা সেদিন পরকালের জন্য নেক আমল করতে না পারার জন্য […]
The content focuses on the Islamic concept of disbelief in God's revelations (Denying it). The speaker explains that disbelief, or kufr, is not about verbal rejection but is fundamentally defined by one's actions and conduct. Using the example of misappropriating an orphan's wealth, the speaker argues that the true disbeliever is the person who acts […]
On the Reinterpretation of Iman in Islam This video explores a provocative reinterpretation of one of Islam’s fundamental concepts: iman. The author Dr. Hal al-Sed Hassan argues that the traditional understanding of iman as “faith” or “belief” has been deliberately misconstrued over centuries, and that this misunderstanding has led to significant social and theological consequences within the Islamic […]
সাধারন ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে একটি কমন ধারনা হলো: ইসলামের সংবিধান হলো কুরআন এবং আধুনিক সময়ে যেসব সেকুলার সংবিধান করা হয় তা হলো "তাগুত"। বিষয়টি কি সত্যিই এরকম সাদা কালো? কুরআন কি সংবিধানি? একজন ইসলামে বিশ্বাসীর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে এই প্রশ্নের মিমাংসায় পৌছতে হলে আমাদের প্রথমে কয়েকটি কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে এগুতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে […]