ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
বই পর্যালোচনা: ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইসলাম’: মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ
বইটির পর্যালোচনাটি লিখেছেন হাবিব ইমরান ।
মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের কোনো কোনো আয়াতের 'অপব্যাখ্যা' দিয়ে সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ বা 'ব্রেনওয়াশ' করা হয়, আপনি জানেন?
মুরতাদ-মুশরিক-কাফের কাকে বলে? এদের মধ্যে পার্থক্যই কী ? মন্দির-গির্জা-প্যাগোডা রক্ষা করার দায়িত্বও একজন মু'মিনের, যেটা কিনা জিহাদেরই অংশ- জানেন কি!
আট দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব রাজনীতি ও ইসলামকে কেন্দ্র যেসব প্রশ্ন, প্রসঙ্গ এবং বিতর্ক বারবার ঘুরেফিরে এসেছে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইসলাম বইটিতে সেগুলোর সব উত্তর রয়েছে।
মাত্র আটাশি পৃষ্ঠার বইটি পড়তে একজন সাধারণ পাঠকের সময় লাগবে তিন থেকে চার ঘণ্টা, বিনিময়ে পাবেন ইসলাম সম্পর্কে আশি বছরেরও বেশি সময় ধরে জমিয়ে রাখা কিছু প্রশ্নের পরিষ্কার এবং নির্ভরযোগ্য উত্তর।উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত 'শোলাকিয়া'র গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ-এর বইটি সাজানো হয়েছে প্রশ্নোত্তরের ছলে। সমসাময়িক দুনিয়ায় আগুনের মত গনগনে বিষয়- জিহাদ, কিতাল, আত্মঘাতী হামলা, খিলাফত, নারী ও ইসলাম, হিজাব, কওমী মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিনিয়ত জমা হতে থাকা প্রশ্নগুলো আল কোরআন ও সহীহ হাদিসের ভিত্তিতে দৃঢ়ভাবে ব্যাখা দেওয়া হয়েছে এতে।
'ছাপ্পা ঘুড়ি'র মত এলোমেলো দুলতে থাকা নানা বিষয়কে এক সুতোয় বাঁধতে গিয়ে মাওলানা মাসঊদ উত্তর শুরু করেছেন গোড়া থেকেই- কখনো কখনো বেছে নিয়েছেন ফিকহ শাস্ত্রের রেফারেন্স। জিহাদের নামে সন্ত্রাসবাদ তৈরি করে বিশ্বব্যাপী যে 'ইসলামোফোবিয়া' তৈরি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে মাওলানা মাসঊদের এ বইটি একটি 'জিহাদ বিল কালম' এর উদাহরণ।
বইটি পড়তে গিয়ে বারবার ধাক্কা খেতে হয়েছে। বইটির শুরুতেই জিহাদের উপর আলোচনা করতে গিয়ে সরাসরি বাতিল করে দিয়েছেন ব্যক্তি উদ্যোগে সশস্ত্র জিহাদ বা 'কিতাল'-এর ধারণাকে। মাওলানা মাসঊদ হাদিস তুলে ধরে দেখিয়েছেন- 'কিতাল'-এর ডাক দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র আমীর বা মুসলিমদের পক্ষ থেকে নির্বাচিত প্রশাসনিক প্রধানের।
সশস্ত্র সংগ্রাম এর বদলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের 'রিপু, প্রবৃত্তি ও পশুত্ব' অর্থাৎ 'নফস'-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাকেই 'জিহাদে আকবর' বা বড় জিহাদ মনে করতেন।
ঢাকার জামি'আ মাদানিয়া, ফরিদাবাদ মাদরাসা, মালিবাগ জামি'আ, জামি'আ মাদানিয়া বারিধারাসহ অসংখ্য মাদরাসায় হাদীসের দরসদানকারী এবং 'শাইখুল হাদীস'- এর দায়িত্বপালনকারী মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ হাদিস দিয়েই 'জিহাদে আকবর' এর উদাহরণ টেনেছেন- "বায়হাকী 'কিতাবুয যুহদে' হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণনা করেন, রসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে যুদ্ধ সমাপ্তকারী এক দল এল। রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ছোট জিহাদের থেকে বড় জিহাদের প্রতি তোমাদের আগমন শুভ হোক। তারা বলল, বড় জিহাদ কোনটি? রসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ। (হাদীস নং-৩৮৩)"
'জিহাদ' শিরোনামের প্রারম্ভিক অধ্যায়ে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ এসেছে প্রশ্নের ধারাবাহিকতায়। আমরা যেটাকে বলি সন্ত্রাসবাদের জন্য 'ব্রেইনওয়াশ'- সেটি পবিত্র কোরআনের কোন কোন আয়াতের অপব্যাখ্যা দিয়ে করা হয়, তার সূত্র ধরিয়ে দিয়েছেন মাওলানা মাসঊদ। তিনি বলেছেন, "এরা প্রধানত কয়েকটি আয়াত এবং হাদীসের একটি ঘোষণার অপব্যাখা দিয়ে হত্যার বিষয়টিকে জায়েজ করার চেষ্টা করে।"
সুরা তওবা-এর আগের চারটি আয়াত বাদ দিয়ে ৫ নম্বর আয়াতকে নাজিল হওয়ার প্রেক্ষাপট বা শানে নুযুল বিচ্ছিন্ন করে বিকৃতভাবে ব্যবহারের উদাহরণ টেনেছেন মাওলানা মাসঊদ। সহীহ বুখারী ও মুসলিম-এ উল্লেখিত হাদীস 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু স্বীকার করা না পর্যন্ত আমি লড়াই করতে নির্দেশিত হয়েছি' হাদীসটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মাওলানা মাসঊদ বলছেন, "যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নাজিল হওয়া এই আয়াত ও হাদীসের অর্থ সাধারণভাবে প্রযোজ্য নয়।"
'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইসলাম' বইটিতে মোট সাতটি অধ্যায় রয়েছে। এগুলো হলো- জিহাদ, ইসলাম ও অন্য ধর্মের সহাবস্থান, ইসলাম ও ইসলামী গোষ্ঠীসমূহ, আইন, নারী, ইসলাম ও উপমহাদেশ এবং শিক্ষা ব্যবস্থা।
বইটির দ্বিতীয় অধ্যায় অর্থাৎ 'ইসলাম ও অন্য ধর্মের সহাবস্থান' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জিজিয়া, অমুসলিমদের প্রতি আক্রমণ, ধর্ম পালনে বাধ্য করা, অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে- 'অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে হামলা কি ইসলাম সমর্থন করে?' এর উত্তরে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ স্পষ্টতই বলছেন- "অন্য ধর্মের মানুষদের রক্ষা করা যেমন মুসলমানদের দায়িত্ব ঠিক একইভাবে অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষা করাটাও মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব, যা জিহাদেরই অংশ।"
এর উদাহরণ টানতে গিয়ে মাওলানা মাসঊদ সুরা হজ্জ এর ৪০ নম্বর আয়াতের রেফারেন্স দিয়েছেন। ভিন্নমত পোষণকারীদের কোন অবস্থাতেই ইসলামের দৃষ্টিতে হত্যার সুযোগ নেই বলে মনে করেন মাওলানা মাসঊদ। তার মতে, "ইসলাম কোনভাবেই এটি সমর্থন করে না।"
'ইসলাম ও ইসলামী গোষ্ঠীসমূহ' নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদ ও আত্মঘাতী হামলা নিয়ে কথা বলেছেন। যেকোন ধরনের 'আত্মহত্যা' বা আত্মঘাতমূলক কাজ যে ইসলামের দৃষ্টিতে গুনাহ তা হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এই অধ্যায়ে কাফের, মুশরিক ও মুরতাদ কারা এবং সেটি কে নির্ধারণ করবে সে ব্যাপারে কিছু প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে এসেছে ইসলামের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও মতবাদের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাও। তাকফীরী থেকে হাল আমলের উগ্র জঙ্গিবাদী আইএস, সালাফী এবং ওয়াহাবী, খারিজী, শিয়া, মুরজীয়া, আহমদীয়া ইত্যাদি নানা গোষ্ঠীর মুসলিম মতাদর্শের পার্থক্য উঠে এসেছে মাওলানা মাসঊদের সংক্ষিপ্ত অথচ সুনির্দিষ্ট ও যথাযথ উত্তরে।
আইন অধ্যায়টিতে মদীনা সনদ ও শরীয়া আইন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কুরআন-হাদীস তো বটেই হাদীস সংগ্রহের প্রক্রিয়া নিয়েও দৃষ্টান্তসমেত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন মাসঊদ। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ইজমা এবং কিয়াস এখন আর ব্যবহার করা না হলেও বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইসলাম' বইটি মূলত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর পাবলিশিং (বিপিএল)-এর পক্ষ থেকে নেওয়া মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের ফসল।
আশি বছরের বেশি সময় ধরে একজন মুসলমান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে ইসলাম ও নিজের করণীয় সম্পর্কে যেসব সাধারণ প্রশ্ন করেছে- 'সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও ইসলাম' বইটি তাদের জন্য এক চমৎকার খোরাক।
ইসলাম কার? সাধারণ মুসলিম না আতঙ্কসৃষ্টিকারী জঙ্গিদের? পরিবর্তনশীল বিশ্ব রাজনীতির গোলকধাঁধায় ‘শান্তির ধর্ম ইসলাম’ কতটুকু প্রাসঙ্গিক? নিস, ইস্তাম্বুল কিংবা ঢাকার গুলশানে নিরীহ মানুষ হত্যা করে কি অর্জন করতে চায় জঙ্গিরা? কিসের আশায় নিজেদের চলন্ত মানববোমায় পরিণত করছে অসংখ্য তরুণ? নাকি জঙ্গিবাদ স্রেফ পশ্চিমি গণমাধ্যমের তৈরি নতুন এক প্রহেলিকা?
এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি আমরা। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে উত্তর দিয়েছেন প্রখ্যাত আলেম এবং শোলাকিয়া ঈদগাহ’র গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি: উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত ‘শোলাকিয়া’র গ্র্যান্ড ইমাম মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের জন্ম ১৯৫০ সালে। ভারতের বিখ্যাত ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’থেকে স্নাতকোত্তর। উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ সাইয়্যিদ আসআদ মাদানী (রহ.)-এর অন্যতম খলিফা মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বর্তমানে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা-এর চেয়ারম্যান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কওমী মাদরাসা শিক্ষা কমিশনের কো-চেয়ারম্যান। লক্ষাধিক আলেম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষর সম্বলিত মানবকল্যাণে শান্তির ফাতওয়া জারিতে মুখ্য ভূমিকা রাখেন।
আল-কুরআনের ভাষা শিক্ষা কোর্সে আপনাকে স্বাগতম! আরবি ভাষা শিখুন ও আরবি ব্যাকরণ শিখুন এই কোর্সের মাধ্যমে । আপনি যদি একজন নতুন শিক্ষার্থী হন অথবা আপনার আরবি ভাষার দক্ষতা বাড়াতে চান, তাহলে ক্লাসগুলোতে জয়েন করুন যা আরবি ব্যাকরণ এবং শব্দভান্ডারের মৌলিক বিষয়গুলি শেখাবে। মহান আল্লাহ্ তা'আলা তার প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব আল-কোরআনের অর্থ নিজে নিজে বুঝতে ও […]
আভিধানিক অর্থ হিকমাহ / প্রজ্ঞা যেমন: সুরা নাহালের ১২৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাতে তর্ক করবে উত্তম পন্থায় । এ আয়াতে প্রজ্ঞা বা হেকমত অবলম্বন করে এবং সৎ উপদেশের মাধ্যমে আল্লাহর পরে আহ্বান করার আদেশ দেয়া হয়েছে । পারিভাষিক অর্থ যাবতীয় […]
আহমেদ আল রাইসুনি আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা "আল-শুরা" (Al-Shura: The Qur'anic Principle of Consultation) বইটি ইসলামী রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নৈতিক দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। বইটি বিশেষভাবে ইসলামে পরামর্শমূলক শাসনব্যবস্থা বা শুরার ধারণা, এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং আধুনিক প্রাসঙ্গিকতাকে বিশ্লেষণ করে। বইয়ের মূল বিষয়বস্তু বইয়ের বিশেষত্ব উপসংহারের মূল বিষয়বস্তু আহমেদ আল রাইসুনি তার […]
Timestamps:00:00 - Introduction00:17 - Background of the Guest: Amin Lessan00:56 - Interest in the Qur'an mathematical patterns01:41 - Today's Topic02:32 - Introduction04:14 - Caveats & Considerations about the Qur'an09:05 - Case Study: The Qur'an & the Moon Landing12:20 - Analysis & Critique of Loose Connections16:03 - Context of the Quran's Transmission18:59 - Non-Contiguous Revelation of […]
কুরআনের ক্রম বের করার অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে এবং বিভিন্ন মতামত রয়েছে। স্কলার মার্ক ডুরি কুরআনের শব্দ ও গঠন শৈলি ব্যবহার করে একটি ভিন্ন সুরার ক্রমে উপনিত হয়েছেন যা এই প্রবন্ধের বিষয়বস্ত
In this series we will tackle Quranic verses which are repeatedly wrong translated across time in many different translation. The first in this series will focus on 36:40
We are happy to announce that The IQRA has joined the International Quranic Studies Association (IQSA). The International Qur’anic Studies Association (IQSA) is the first learned society dedicated to the study of the Qur’an. We hold conferences around the world and publish cutting-edge research and scholarship. The IQSA community and its partners include scholars, students, […]