ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ ও তার প্রতিকার
কুরআনে বিভিন্ন নবীদের জীবনের যেসব হাইলাইট আমরা পেয়েছি, তাদের জীবনের যে মিশন তার কিছু চুম্বক অংশ আল্লাহ কুরআনে বিশ্ববাসীদের জন্য বর্ণনা করেছেন। একজন মানুষের জীবনে অনেক কিছুই ঘটে তার পুরোটা অন্য মানুষকে বলা সম্ভব নয়। তেমনি নবীদের বেলায়ও তাদের জীবন সংগ্রাম, বেড়ে ওঠা, সংগ্রামী জীবন ও জীবন সংগ্রামে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার মধ্য থেকে কুরআনে কেবলমাত্র অল্প কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা উল্লেখ পাই এবং যেহেতু সেগুলো সংক্ষিপ্ত, তার মানে ধরেই নেওয়া যায় ঐ সংক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যে আমাদের জন্য বিশাল শিক্ষা ও চিন্তার উপাদান রয়েছে।
আমরা যেসব নবীর মিশন সম্পর্কে উল্লেখ পাই তাদের প্রত্যেকে তাদের জাতির সবচেয়ে অন্ধকার যে দিক সেটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। নবী ইব্রাহীম করেছে স্বৈরাচারী ও একনায়ক শাসকের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সমাজের বিভাজনতার ও অনৈক্যের অন্যতম উপাদান বহুত্ববাদের উপাসনা তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান। নবী মুসা ছিলেন স্বৈরাচারী ও একনায়ক জুলুমবাজ ফিরাউনের বিরুদ্ধে বনী ইসরাইলে শোষণের ও মুক্তির আহ্বানকারী। বনী ইসরাইলদের জুলুম ও দাসত্বের শিকল ভাঙ্গার মুক্তির ডাক দেওয়া আওয়াজ ছিলো মুসা ও হারুনের। লুত তার কওমের যে সবচেয়ে অন্ধকার দিক অর্থাৎ নৈতিকতার অবক্ষয়, সমকামিতা ও ডাকাতি-রাহাজানি তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। নবী সালেহ তার কওমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন স্পষ্ট প্রতিবাদকারী।
এমনিভাবে আমরা দেখি যে প্রত্যেক প্রধান নবীকে তার কওমের ব্যাপারে দায়িত্ববান হতে হয়েছে এবং নিজ নিজ কওমের সবচেয়ে অন্ধকার দিককে প্রতিবাদের মাধ্যমে, সক্রিয়তার মাধ্যমে আলোতে নিয়ে আসতে হয়েছে। এটাই সবার মিশনের সবচেয়ে কমন দিক ছিলো।
আমাদের সমাজের ধর্মের নামে সবচেয়ে অন্ধকার যে দিকটি আমরা দেখতে পাই যা সবাই দেখেও না দেখার, শুনেও না শুনার এবং বুঝেও না বোঝার ভান করে পাশ কাটিয়ে যায় যার পরিণতি অবশ্যই খুব ভয়াবহ। যারা ধার্মিক তাদের সবার আগে সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন ধর্মের নামে মাদ্রাসায় যে শিশু নির্যাতন, নিগ্রহ, ধর্ষন ও হত্যা চলে আসছে তার বিরুদ্ধে। এই প্রবন্ধের লেখক মনে করেন আমাদের বাংলাদেশের সমাজে যতধরনের দুর্নীতি ও দুস্কৃতী চলে আসছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর দু:স্কৃতী হলো মাদ্রাসায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের বলাৎকার ও ধর্ষণের ঘটনা।
দু:খের বিষয় হলো যে এ প্রসঙ্গে ধর্মভিরুদের মধ্যে উদ্যোগ নেই। বরং মুক্তমনা ও যারা ধর্মকে অনেকটাই ত্যাগ করেছে ধর্মের নামে চলে আসা ভন্ডামী ও মুনাফেকি দেখে, তাদের মধ্যে বিবেকবান ও মানবিক মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ এ বিষয়ে অনেক সচেতন, সোচ্চার ও প্রতিবাদী।
এখানে তাদের ভিতরে যারা মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে আসছেন তাদের কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো। প্রদীপের নীচে যে গভীর অন্ধকার তা সম্পর্কে ইসলাম সম্পর্কে যারা আগ্রহী, সচেতন তাদের জানা খুব জরুরী কেননা এই নির্যাতনের স্বীকার শিশুরাই একদিন বড় হয়ে ধর্মের কান্ডারী হবেন। অথচ তারা প্রতি নিয়ত হচ্ছে নিগ্রহের স্বীকার।
কল্পনা করুন একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশু তার মাদ্রাসার শিক্ষক যে তাকে কুরআন শিক্ষা দেয় তার দ্বারা রাতে বলাৎকারের স্বীকার হয়ে পরের দিন সকালে তার কাছেই সুললিত কন্ঠে কুরআন শিক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছে। ধর্ষণের পরে তারই হাতে কুরআন তুলে দিয়ে বলা হচ্ছে কুরআন স্পর্শ করে কছম কাটো এই কথা কাউকে বলা যাবে না। কল্পনা করা কঠিন হলেও এটাই বাস্তবতা এবং মনোবিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের ভন্ডামী, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, মুনাফিকি আচরনের মধ্যে বেড়ে ওঠা এই সব শিশু একসময় সাইকোপ্যাথে পরিণত হবে। ধর্ষণের স্বীকার হতে হতে এরা আবার ধর্ষক হয়ে উঠতে পারে, জারি রাখতে পারে একই আচরণ তার বয়োজ্যোষ্ঠের সাথে। শুধু তাই নয়, এই আচরন তাকে বাহ্যিকভাবে ধর্মের লেবাস পড়তে বাধ্য করলেও ভিতরে ভিতরে মন ও মানসিকতা হয়ে উঠবে দুষিত।
সুতরাং এই বিষয়টিকে হেলাফেলা করা জাতি ও সমাজ হিসেবে আমাদের জন্য খুবই বিপজ্জনক।
এখানে মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণ ও তার প্রতিকার নিয়ে কিছু অনলাইন আলোচনা শেয়ার করা হলো:
The Quran Beheld is a new english translation of the Quran by Nuh Ha Mim Keller About The Book This work solves an enigma that has puzzled many readers first coming to Islam through English translations of the Quran. The Arabic original stunned hearers in their own language with its unutterable evocative power, incisive arguments, […]
The Quran is the majestic word of Allah (swt), it gives Muslims life. In the Quran, Allah speaks to all human beings and those that read the Quran revere the majesty of its style and prose. Professor Muhammad A. S. Abdel Haleem is the Professor of Islamic Studies and director of the Centre for Islamic […]
আল-কুরআনের ভাষা শিক্ষা কোর্সে আপনাকে স্বাগতম! আরবি ভাষা শিখুন ও আরবি ব্যাকরণ শিখুন এই কোর্সের মাধ্যমে । আপনি যদি একজন নতুন শিক্ষার্থী হন অথবা আপনার আরবি ভাষার দক্ষতা বাড়াতে চান, তাহলে ক্লাসগুলোতে জয়েন করুন যা আরবি ব্যাকরণ এবং শব্দভান্ডারের মৌলিক বিষয়গুলি শেখাবে। মহান আল্লাহ্ তা'আলা তার প্রেরিত সর্বশেষ কিতাব আল-কোরআনের অর্থ নিজে নিজে বুঝতে ও […]
আভিধানিক অর্থ হিকমাহ / প্রজ্ঞা যেমন: সুরা নাহালের ১২৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাতে তর্ক করবে উত্তম পন্থায় । এ আয়াতে প্রজ্ঞা বা হেকমত অবলম্বন করে এবং সৎ উপদেশের মাধ্যমে আল্লাহর পরে আহ্বান করার আদেশ দেয়া হয়েছে । পারিভাষিক অর্থ যাবতীয় […]
আহমেদ আল রাইসুনি আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা "আল-শুরা" (Al-Shura: The Qur'anic Principle of Consultation) বইটি ইসলামী রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নৈতিক দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। বইটি বিশেষভাবে ইসলামে পরামর্শমূলক শাসনব্যবস্থা বা শুরার ধারণা, এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং আধুনিক প্রাসঙ্গিকতাকে বিশ্লেষণ করে। বইয়ের মূল বিষয়বস্তু বইয়ের বিশেষত্ব উপসংহারের মূল বিষয়বস্তু আহমেদ আল রাইসুনি তার […]
Timestamps:00:00 - Introduction00:17 - Background of the Guest: Amin Lessan00:56 - Interest in the Qur'an mathematical patterns01:41 - Today's Topic02:32 - Introduction04:14 - Caveats & Considerations about the Qur'an09:05 - Case Study: The Qur'an & the Moon Landing12:20 - Analysis & Critique of Loose Connections16:03 - Context of the Quran's Transmission18:59 - Non-Contiguous Revelation of […]
কুরআনের ক্রম বের করার অনেক প্রচেষ্টা হয়েছে এবং বিভিন্ন মতামত রয়েছে। স্কলার মার্ক ডুরি কুরআনের শব্দ ও গঠন শৈলি ব্যবহার করে একটি ভিন্ন সুরার ক্রমে উপনিত হয়েছেন যা এই প্রবন্ধের বিষয়বস্ত