৭৯:১
ওয়ান নাযিআতি গারক্বান = যারা টেনে তুলে তাদের শপথ।
যারা টেনে তুলে তাদের শপথ।
৭৯:২
ওয়ান নাশিতাতি নাশতান = আর যারা বাঁধন খুলে দেয় তাদের (শপথ)।
আর যারা বাঁধন খুলে দেয় তাদের (শপথ)।
৭৯:৩
ওয়াছ ছাবিহাতি ছাবহান = আর যারা সাঁতার কাটে তাদের (শপথ)।
আর যারা সাঁতার কাটে তাদের (শপথ)।
৭৯:৪
ফাছ ছাবিক্বাতি ছাবক্বান = তারপর যারা এগিয়ে যায় তাদের (শপথ)।
তারপর যারা এগিয়ে যায় তাদের (শপথ)।
৭৯:৫
ফালমুদাব্বিরাতি আমরান = তারপর যারা কার্য নির্বাহ করে তাদের (শপথ)।
তারপর যারা কার্য নির্বাহ করে তাদের (শপথ)।
৭৯:৬
ইয়াওমা = সেদিন। তারজুফুর রজিফাতু = প্রকম্পিত করবে তীব্র প্রকম্পনকারী।
সেদিন প্রকম্পিত করবে তীব্র প্রকম্পনকারী।
৭৯:৭
তাতবাউহার রদিফাতু = উহাকে ইত্তেবা/ অনুসরণ করবে অনুগামী (প্রকম্পনকারী)।
উহাকে ইত্তেবা/ অনুসরণ করবে অনুগামী (প্রকম্পনকারী)।
৭৯:৮
ক্বূলুবুইঁ ইয়াওমায়িযিওঁ ওয়াজিফাতুন = অনেক কলব সেদিন ভীতসন্ত্রস্ত হবে।
অনেক কলব সেদিন ভীতসন্ত্রস্ত হবে।
৭৯:৯
আবসারুহা খাশিয়াতুন = (দায়বদ্ধতার অনুভূতিতে) অবনমিত থাকবে তাদের চোখসমূহ ।
(দায়বদ্ধতার অনুভূতিতে) অবনমিত থাকবে তাদের চোখসমূহ।
৭৯:১০
ইয়াক্বূলূনা = তারা বলবে। আ ইন্না লামারদূদূনা ফিল হাফিরাতি = আমরা কি নিশ্চয় পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবো?
তারা বলবে, ‘আমরা কি নিশ্চয় পূর্বাবস্থায় ফিরে যাবো?’
৭৯:১১
আয়িযা কুন্না = তখনো কি যখন আমরা পরিণত হবো। ইযামান নাখিরাতান = গলিত অস্থিসমূহে।
তখনো কি যখন আমরা পরিণত হবো গলিত অস্থিসমূহে?
৭৯:১২
ক্বলূ = তারা বলে। তিলকা ইযান = ইহা তো তাহলে হবে। কাররাতুন খাছিরাতুন = বড়ই ক্ষতিকর প্রত্যাবর্তন।
তারা বলে, ‘ইহা তো তাহলে হবে বড়ই ক্ষতিকর প্রত্যাবর্তন’।
৭৯:১৩
ফাইন্নামা হিয়া = প্রকৃতপক্ষে উহা হবে। যাজরাতুন ওয়াহিদাতুন = একটিমাত্র ধমক।
প্রকৃতপক্ষে উহা হবে একটিমাত্র ধমক।
৭৯:১৪
ফাইযা হুম বিছ ছাহিযারাতি = তারপর তখনই তারা খোলা মাঠে (উপস্থিত হবে)।
তারপর তখনই তারা খোলা মাঠে (উপস্থিত হবে)।
৭৯:১৫
হাল আতাকা = তোমার কাছে পৌঁছেছে। হাদীসু মূসা = মূসার হাদীস/ ইতিহাস?
তোমার কাছে কি পৌঁছেছে মূসার হাদীস/ ইতিহাস?
৭৯:১৬
ইয = যখন। নাদাহু = তাকে ডেকেছিলেন। রব্বুহু = তার রব। বিল ওয়াদিল মুক্বাদ্দাসি তুওয়ান = পবিত্র তুয়া উপত্যকায়।
যখন তাকে ডেকেছিলেন তার রব পবিত্র তুয়া উপত্যকায়?
৭৯:১৭
ইযহাব = যাও। ইলা ফিরআউনা = ফিরাউনের কাছে। ইন্নাহু = নিশ্চয় সে। তগা = বিদ্রোহ করেছে।
‘যাও ফিরাউনের কাছে। নিশ্চয় সে বিদ্রোহ করেছে।
৭৯:১৮
ফাক্বুল = সুতরাং (তাকে) বল। হাল লাকা = তোমার আগ্রহ আছে কি। আন = যে। তাযাক্কা = তুমি নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে?
সুতরাং (তাকে) বল, ‘তোমার আগ্রহ আছে কি যে, তুমি নিজেকে পরিশুদ্ধ করবে?
৭৯:১৯
ওয়া = আর। আহদিয়াকা = আমি তোমাকে হিদায়াত/ পথনির্দেশ করব। ইলা রব্বিকা = তোমার রবের দিকে। ফাতাখশা = সুতরাং তুমি (তাঁকে) ভয় করবে।
আর আমি তোমাকে হিদায়াত/ পথনির্দেশ করব তোমার রবের দিকে। সুতরাং তুমি (তাঁকে) ভয় করবে।
৭৯:২০
ফাআরাহুল আয়াতাল কুবরা = তারপর সে (= মূসা) তাকে দেখিয়েছিল বড় ধরনের আয়াত/ নিদর্শন।
তারপর সে (= মূসা) তাকে দেখিয়েছিল বড় ধরনের আয়াত/ নিদর্শন।
৭৯:২১
ফাকাযযাবা ওয়া আসা = কিন্তু সে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিল আর অমান্য করেছিল।
কিন্তু সে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিল আর অমান্য করেছিল।
৭৯:২২
ছুম্মা = তারপর। আদবারা ইয়াছআ = প্রতিকারের চেষ্টায় পিছনে ফিরে গিয়েছিল।
তারপর প্রতিকারের চেষ্টায় পিছনে ফিরে গিয়েছিল।
৭৯:২৩
ফাহাশারা = তারপর সমবেত করেছিল। ফানাদা = তারপর ঘোষণা দিয়েছিল।
তারপর সমবেত করেছিল। তারপর ঘোষণা দিয়েছিল।
৭৯:২৪
ফাক্বলা = তখন সে বলেছিল। আনা রব্বুকুল আ’লা = আমিই তোমাদের মহান রব।
তখন সে বলেছিল, ‘আমিই তোমাদের মহান রব’।
৭৯:২৫
ফাআখাযাহুল্লাহু = সুতরাং আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেছিলেন। নাকালাল আখিরাতি ওয়াল ঊলা = পরের ও আগের (লোকদের জন্য) শিক্ষামূলক শাস্তিস্বরূপ।
সুতরাং আল্লাহ তাকে পাকড়াও করেছিলেন, পরের ও আগের (লোকদের জন্য) শিক্ষামূলক শাস্তিস্বরূপ।
৭৯:২৬
ইন্না = নিশ্চয়। ফী যালিকা লাইবরাতান = উহার মধ্যে শিক্ষা আছে। লিমাইঁ ইয়াখশা = যে ভয় করে তার জন্য।
নিশ্চয় উহার মধ্যে শিক্ষা আছে যে ভয় করে তার জন্য।
৭৯:২৭
আআনতুম আশাদ্দু খালক্বান = তোমরাই কি কঠিনতর সৃষ্টি। আমিছ ছামাউ = নাকি আকাশ? বানাহা = তিনিই উহা বানিয়েছেন।
তোমরাই কি কঠিনতর সৃষ্টি নাকি আকাশ? তিনিই উহা বানিয়েছেন।
৭৯:২৮
রফাআ ছামকাহা = তিনি সমুন্নত করেছেন উহার ছাদকে। ফাছাওয়াহা = তারপর তিনি উহাকে সুবিন্যস্ত করেছেন।
তিনি সমুন্নত করেছেন উহার ছাদকে তারপর তিনি উহাকে সুবিন্যস্ত করেছেন।
৭৯:২৯
ওয়া আগতশা লাইলাহা = আর (অন্ধকারে) আচ্ছন্ন করে দিয়েছেন উহার রাতকে। ওয়া আখরাজা দুহাহা = আর বের করেছেন উহার দোহাকে/ পূর্ণ সূর্য দীপ্তিকালকে।
আর (অন্ধকারে) আচ্ছন্ন করেছেন উহার রাতকে আর বের করেছেন উহার দোহাকে/ পূর্ণ সূর্য দীপ্তিকালকে।
৭৯:৩০
ওয়াল আরদা = আর পৃথিবীকে। বা’দা যালিকা = উহার পরে। দাহাহা = বিস্তীর্ণ করেছেন।
আর পৃথিবীকে উহার পরে বিস্তীর্ণ করেছেন।
৭৯:৩১
আখরাজা মিনহা = উহার মধ্য থেকে বের করেছেন। মাআহা ওয়া মারআহা = উহার পানি ও উহার উদ্ভিদ।
উহার মধ্য থেকে বের করেছেন উহার পানি ও উহার উদ্ভিদ।
৭৯:৩২
ওয়াল জিবালা = আর পাহাড়সমূহকে। আরছাহা = তিনি দৃঢ়ভাবে গেঁড়ে দিয়েছেন।
আর পাহাড়সমূহকে তিনি দৃঢ়ভাবে গেঁড়ে দিয়েছেন।
৭৯:৩৩
মাতাআল্লাকুম = ভোগসামগ্রী হিসাবে তোমাদের জন্য। ওয়া লিআনআমিকুম = আর তোমাদের আনআমের/ গবাদি পশুগুলোর জন্য।
ভোগসামগ্রী হিসাবে তোমাদের জন্য আর তোমাদের আনআমের/ গবাদি পশুগুলোর জন্য।
৭৯:৩৪
ফাইযা = তারপর যখন। জাআতিত তম্মাতিল কুবরা = মহা দুর্ঘটনা এসে যাবে।
তারপর যখন মহাদুর্ঘটনা এসে যাবে।
৭৯:৩৫
ইয়াওমা = সেদিন। ইয়াতাযাক্কারুল ইনসানু = ইনসান/ মানুষ তাযাক্কুর/ স্মরণ করবে। মা ছাআ = যা কিছু চেষ্টা সে করেছিল।
সেদিন ইনসান/ মানুষ তাযাক্কুর/ স্মরণ করবে যা কিছু চেষ্টা সে করেছিল।
৭৯:৩৬
ওয়া বুররিযাতিল জাহীমু = আর বের করে আনা হবে জাহীমকে (= জাহান্নামকে)। লিমাইঁ ইয়ারা = যে দেখবে তার জন্য/ দৃষ্টিমানের জন্য।
আর বের করে আনা হবে জাহীমকে (= জাহান্নামকে) যে দেখবে তার জন্য/ দৃষ্টিমানের জন্য।
৭৯:৩৭
ফাআম্মা মান তগা = সুতরাং যে বিদ্রোহ করেছিল।
সুতরাং যে বিদ্রোহ করেছিল।
৭৯:৩৮
ওয়া আছারাল হায়াতাদ দুনইয়া = আর হায়াতুদ দুনিয়াকে/ পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
আর হায়াতুদ দুনিয়াকে/ পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছিল।
৭৯:৩৯
ফাইন্নাল জাহীমা হিয়াল মা’ওয়া = নিশ্চয় জাহীম/ জাহান্নামই হবে তার বাসস্থান।
নিশ্চয় জাহীম/ জাহান্নামই হবে তার বাসস্থান।
৭৯:৪০
ওয়া আম্মা মান খাফা = আর যে ভয় করেছিল। মাক্বামা রব্বিহী = তার রবের সামনে দাঁড়াতে। ওয়া নাহান্নাফছা আনিল হাওয়া = আর তার নিজ সত্তাকে বিরত রেখেছিল প্রবৃত্তিতাড়িত হওয়া থেকে।
আর যে ভয় করেছিল তার রবের সামনে দাঁড়াতে, আর তার নিজ সত্তাকে বিরত রেখেছিল প্রবৃত্তিতাড়িত হওয়া থেকে।
৭৯:৪১
ফাইন্নাল জান্নাতা হিয়াল মা’ওয়া = নিশ্চয় জান্নাতই হবে তার বাসস্থান।
নিশ্চয় জান্নাতই হবে তার ঠিকানা।
৭৯:৪২
ইয়াছআলূনাকা = তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে। আনিছ ছায়াতি = সায়াত/ অবধারিত মুহুর্ত সম্পর্কে। আইয়ানা মুরছাহা = কখন তা ঘটবে?
তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে সায়াত/ অবধারিত মুহুর্ত সম্পর্কে, ‘কখন তা ঘটবে?’
৭৯:৪৩
ফীমা আনতা মিন যিকরাহা = উহার যিকির/ উল্লেখের সাথে তোমার কী সম্পর্ক?
উহার যিকির/ উল্লেখের সাথে তোমার কী সম্পর্ক?
৭৯:৪৪
ইলা রব্বিকা মুনতাহাহা = তোমার রবের কাছেই উহার চূড়ান্ত জ্ঞান।
তোমার রবের কাছেই উহার চূড়ান্ত জ্ঞান।
৭৯:৪৫
ইন্নামা = প্রকৃতপক্ষে। আনতা = তুমি। মুনযিরু মাইঁ ইয়াখশাহা = তাকে সতর্ককারী যে উহাকে ভয় করে।
প্রকৃতপক্ষে তুমি তাকে সতর্ককারী যে উহাকে ভয় করে।
৭৯:৪৬
কাআন্নাহুম ইয়াওমা ইয়ারাওনাহা = যেদিন তারা তা দেখবে সেদিন তাদের অবস্থা এমন হবে যেন। লাম ইয়ালবাছূ = তারা অবস্থান করেনি। ইল্লা আশিয়্যাতান আও দুহাহা = এক আশিয়্যাতান/ ইশার সময় অথবা এক দুহা/ পূর্ণ সূর্য দীপ্তিকাল ছাড়া।
যেদিন তারা তা দেখবে সেদিন তাদের অবস্থা এমন হবে যেন তারা অবস্থান করেনি এক আশিয়্যাতান/ ইশার সময় অথবা এক দুহা/ পূর্ণ সূর্য দীপ্তিকাল ছাড়া।