কুরআনান আ'জাবান

বিস্ময়কর কুরআন

শব্দার্থ ভিত্তিক বাংলা অনুবাদ, তৈয়াবুর রহমান গোপালগঞ্জী

Quranan Ajaban Cover

066. সূরা তাহরীম

হে আমার প্রভু, আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে, আশ্রয় চাই এর উপস্থিতি থেকে। পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু সর্বশক্তিমানের নামে।

৬৬:১
ইয়া আইয়ুহান্নাবিয়্যু = হে নবী। লিমা তুহাররিমু = কেন তুমি হারাম কর। মা আহাল্লাল্লাহু লাকা = যা আল্লাহ তোমার জন্য হালাল করেছেন? তাবতাগী মারদাতা আযওয়াজিকা = তুমি কি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাও? ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। গাফূরুর রহীমুন = গফূর/ ক্ষমাশীল ও রহীম/ দয়াশীল।

হে নবী, কেন তুমি হারাম কর যা আল্লাহ তোমার জন্য হালাল করেছেন? তুমি কি তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি চাও? আর আল্লাহ গফূর/ ক্ষমাশীল ও রহীম/ দয়াশীল।

৬৬:২
ক্বাদ = নিশ্চয়। ফারাদাল্লাহু = আল্লাহ ফরজ/ নির্দিষ্ট করেছেন। লাকুম = তোমাদের জন্য। তাহিল্লাতা আইমানিকুম = তোমাদের আইমান/ শপথ এর বৈধতা নিরূপণ ব্যবস্থা। ওয়াল্লাহু মাওলাকুম = আর আল্লাহই তোমাদের মাওলা/ অভিভাবক। ওয়া হুয়াল আলীমুল হাকীমু = আর তিনি আলীম/ মহাজ্ঞানী ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।

নিশ্চয় আল্লাহ ফরজ/ নির্দিষ্ট করেছেন তোমাদের জন্য তোমাদের আইমান/ শপথ এর বৈধতা নিরূপণ ব্যবস্থা। আর আল্লাহই তোমাদের মাওলা/ অভিভাবক। আর তিনি আলীম/ মহাজ্ঞানী ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।

৬৬:৩
ওয়া = আর। ইয = যখন। আছাররান্নাবিয়্যু = নবী গোপনে বলেছিল। ইলা বা’দি আযওয়াযিহী = তার স্ত্রীদের কারো কাছে। হাদীসান = একটি হাদীস/ কথা। ফালাম্মা = তারপর যখন। নাব্বাআত বিহী = সে উহা (অন্য কোন স্ত্রীর কাছে) প্রকাশ করে দিল। ওয়া = আর। আযহারাহুল্লাহু আলাইহি = আল্লাহ তার কাছে (= নবীর কাছে) বিষয়টি প্রকাশ করে দিলেন। আররাফা বা’দাহু = তখন সে উহার কিছু অংশ ব্যক্ত করেছিল। ওয়া = আর। আ’রাদা মিম বা’দিন = কিছু অংশ এড়িয়ে গিয়েছিল। ফালাম্মা = তারপর যখন। নাব্বাআহা বিহী = সে (= নবী) উহা সম্পর্কে তাকে (= তার স্ত্রীকে) জানিয়েছিল। ক্বলাত = সে বলেছিল। মান আমবাআকা হাযা = কে আপনাকে ইহা জানাল? ক্বলা = সে বলেছিল। নাব্বাআনিয়াল আলীমুল খাবীরু = আমাকে জানিয়েছেন সেই সত্তা যিনি আলীম/ মহাজ্ঞানী ও খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।

আর যখন নবী গোপনে বলেছিল তার স্ত্রীদের কারো কাছে একটি হাদীস/ কথা, তারপর যখন সে উহা (অন্য কোন স্ত্রীর কাছে) প্রকাশ করে দিল আর আল্লাহ তার কাছে (= নবীর কাছে) বিষয়টি প্রকাশ করে দিলেন, তখন সে (= নবী) উহার কিছু অংশ ব্যক্ত করেছিল আর কিছু অংশ এড়িয়ে গিয়েছিল, তারপর যখন সে (= নবী) উহা সম্পর্কে তাকে (= তার স্ত্রীকে) জানিয়েছিল, তখন সে বলেছিল, ‘কে আপনাকে উহা জানাল?’, তখন সে বলেছিল, ‘আমাকে জানিয়েছেন সেই সত্তা যিনি আলীম/ মহাজ্ঞানী ও খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।

৬৬:৪
ইন = যদি। তাতূবা = তোমরা দুজনে তাওবা কর। ইলাল্লাহি = আল্লাহর দিকে। ফাক্বাদ = কেননা নিশ্চয়। সগাত ক্বুলূবুকুমা = তোমাদের দুজনের কলবসমূহ সঠিক অবস্থান থেকে সরে গিয়েছিল। ওয়া = আর। ইন তাযাহারা আলাইহি = যদি তোমরা দুজনে পরস্পরকে সাহায্য কর তার বিরুদ্ধে। ফাইন্নাল্লাহা হুয়া মাওলাহু = তবে নিশ্চয় আল্লাহই তার মাওলা/ অভিভাবক। ওয়া = আর। জিবরীলু = জিবরীল। ওয়া = ও। সালিহুল মু’মিনূনা = সৎকর্মশীল মু’মিনগণ। ওয়াল মালাইকাতু = ও মালায়েকা/ ফেরেশতাগণ। বা’দা যালিকা = উহার পর। যহীরুন = সাহায্যকারী।

যদি তোমরা দুজনে তাওবা কর আল্লাহর দিকে, কেননা নিশ্চয় তোমাদের দুজনের কলবসমূহ সঠিক অবস্থান থেকে সরে গিয়েছিল। আর যদি তোমরা দুজনে পরস্পরকে সাহায্য কর তার বিরুদ্ধে, তবে নিশ্চয় আল্লাহই তার মাওলা/ অভিভাবক, আর জিবরীল ও সৎকর্মশীল মু’মিনগণ ও মালায়েকা/ ফেরেশতাগণ উহার পর সাহায্যকারী।

৬৬:৫
আছা = আছা = আশা করা যায়। রব্বুহু = তার রব। ইন = যদি। তল্লাক্বাকুন্না = সে তোমাদেরকে তালাক দেয়। আইঁ ইউবদিলাহু = তাকে বদলস্বরূপ দেবেন। আযওয়াজান খায়রাম মিনকুন্না = এমন সব স্ত্রী যারা তোমাদের চেয়ে উত্তম। মুছলিমাতিন = মুসলিমা/ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারিনী। মু’মিনাতিন = মু’মিনা/ বিশ্বাসী নারী। ক্বানিতীনা = বিনয়ী নারী। তায়িবাতিন = তাওবাকারিনী। আবিদাতিন = ইবাদাতকারিনী। ছায়িহাতিন = সামাজিক কর্মকান্ডে তৎপর। ছাইয়িবাতিন = দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী। ওয়াবকারান = ও তরূণী।

আশা করা যায় তার রব যদি সে তোমাদেরকে তালাক দেয় তাকে বদলস্বরূপ দেবেন এমন সব স্ত্রী যারা তোমাদের চেয়ে উত্তম, মুসলিমা/ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারিনী, মু’মিনা/ বিশ্বাসী নারী, বিনয়ী নারী, তাওবাকারিনী, ইবাদাতকারিনী, সামাজিক কর্মকান্ডে তৎপর, দায়িত্ব পালনে উদ্যোগী ও তরূণী।

৬৬:৬
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ = হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ। ক্বূ আনফুসাকুম ওয়া আহলীকুম = তোমরা বাঁচাও তোমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের আহালকে/ পরিবার পরিজনকে। নারান = (জাহান্নামের) আগুন থেকে। ওয়া = আর। ক্বূদুহান্নাছু ওয়াল হিজারাতু = উহার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। আলাইহা = উহার দায়িত্বে থাকবে। মালাইয়াকাতুন গিলাযুন শিদাদুন = নির্দয় ও কঠোর মালায়েকা/ ফেরেশতাগণ। লা ইয়া’সূনাল্লাহা = তারা আল্লাহকে অমান্য করে না। মা আমারাহুম = তিনি তাদেরকে যা আদেশ দেন (তা পালন করতে)। ওয়া = আর। ইয়াফআলূনা = তারা করে। মা ইউ’মারূনা = যা তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়।

হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ, তোমরা বাঁচাও তোমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের আহালকে/ পরিবার পরিজনকে (জাহান্নামের) আগুন থেকে। আর উহার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর। উহার দায়িত্বে থাকবে নির্দয় ও কঠোর মালায়েকা/ ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহকে অমান্য করে না তিনি তাদেরকে যা আদেশ দেন (তা পালন করতে)। আর তারা করে যা তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়।

৬৬:৭
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা কাফারূ = হে ঐসব লোক যারা কুফর করেছ। লা তা’তাযিরুল ইয়াওমা = তোমরা কোন ওযর পেশ করো না আজ। ইন্নামা = প্রকৃতপক্ষে। তুজযাওনা = তোমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে। মা কুনতুম তা’মালূনা = তোমরা যা করতে তা অনুযায়ী।

হে ঐসব লোক যারা কুফর করেছ, তোমরা কোন ওযর পেশ করো না আজ। প্রকৃতপক্ষে তোমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে তোমরা যা করতে তা অনুযায়ী।

৬৬:৮
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ = হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ। তূবূ = তোমরা তাওবা কর। ইলাল্লাহি = আল্লাহর দিকে। তাওবাতান নাসূহান = তাওবাতুন নসূহা/ খাঁটি তাওবা। আছা = আশা করা যায়। রব্বুকুম = তোমাদের রব। আইঁ ইউকাফফিরা = মোচন করে দেবেন। আনকুম = তোমাদের থেকে। ছাইয়িআতিকুম = তোমাদের মন্দগুলো। ওয়া = আর। ইউদখিলাকুম = তিনি তোমাদেরকে দাখিল/ প্রবেশ করাবেন। জান্নাতিন = জান্নাতে। তাজরী = জারি হয়। মিন তাহতিহাল আনহারু = যার নিচ অংশে নহরসমূহ/ নদীসমূহ। ইয়াওমা = সেদিন। লা ইউখযিল্লাহুন্নাবিয়্যা = আল্লাহ লাঞ্চিত করবেন না নবীকে। ওয়াল্লাযীনা আমানূ মাআহু = আর তাদেরকে যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে তার সাথে। নূরুহুম = তাদের নূর/ আলো। ইয়াছআ = দৌড়াবে। বায়না আয়দীহিম = তাদের সামনে। ওয়া = ও। বিআয়মানিহিম = তাদের ডানে। ইয়াক্বূলূনা = তারা বলবে। রব্বানা = হে আমাদের রব। আতমিম লানা = আমাদের জন্য পূর্ণ করে দিন। নূরানা = আমাদের নূরকে/ আলোকে। ওয়াগফিরলানা = আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন। ইন্নাকা = নিশ্চয় আপনি। আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীরুন = সকল সত্তা ও বিষয়ের উপর প্রাকৃতিক আইন নির্ধারণকারী ও সর্বশক্তিমান নিয়ন্ত্রণকারী।

হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ, তোমরা তাওবা কর আল্লাহর দিকে, তাওবাতুন নসূহা/ খাঁটি তাওবা। আশা করা যায় তোমাদের রব মোচন করে দেবেন তোমাদের থেকে তোমাদের মন্দগুলো, আর তিনি তোমাদেরকে দাখিল/ প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, জারি হয় যার নিচ অংশে নহরসমূহ/ নদীসমূহ। সেদিন আল্লাহ লাঞ্চিত করবেন না নবীকে আর তাদেরকে যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে তার সাথে। তাদের নূর/ আলো দৌড়াবে তাদের সামনে ও তাদের ডানে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমাদের জন্য পূর্ণ করে দিন আমাদের নূরকে/ আলোকে, আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সকল সত্তা ও বিষয়ের উপর প্রাকৃতিক আইন নির্ধারণকারী ও সর্বশক্তিমান নিয়ন্ত্রণকারী।

৬৬:৯
ইয়া আইয়ুহান্নাবিয়্যু = হে নবী। জাহিদিল কুফফারা ওয়াল মুনাফিক্বীনা = জিহাদ কর কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে। ওয়াগলুয আলাইহিম = আর কঠোর হও তাদের বিরুদ্ধে। ওয়া মা’ওয়াহুম জাহান্নামু = আর তাদের আবাস জাহান্নাম। ওয়া বি’ছাল মাসীরু = আর উহা অত্যন্ত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।

হে নবী, জিহাদ কর কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে। আর কঠোর হও তাদের বিরুদ্ধে। আর তাদের আবাস জাহান্নাম। আর উহা অত্যন্ত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।

৬৬:১০
দরাবাল্লাহু মাছালাল লিল্লাযীনা কাফারূমরআতা নূহিন = আল্লাহ দৃষ্টান্ত পেশ করছেন তাদের জন্য যারা কুফর করেছে নূহের স্ত্রীর। ওয়ামরআতা লূতিন = ও লূতের স্ত্রীর। কানাতা = তারা দুজনে ছিল। তাহতা আবদাইনি মিন ইবাদিনা সলিহায়নি = আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে দুজন সৎকর্মশীল বান্দার অধীনে। ফাখানাতাহুমা = তারপর তারা দুজনই খিয়ানত করেছিল। ফালাম ইউগনিয়া = সুতরাং কাজে আসেনি। আনহুমা = তাদের দুজনের জন্য। মিনাল্লাহি = আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে। শাইয়ান = কোনকিছুই। ওয়া ক্বীলাদখুলান নারা = আর বলা হয়েছিল, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশ কর (জাহান্নামের) আগুনে। মাআদ দাখিলীনা = প্রবেশকারীদের সাথে।

আল্লাহ দৃষ্টান্ত পেশ করছেন তাদের জন্য যারা কুফর করেছে নূহের স্ত্রীর ও লূতের স্ত্রীর। তারা দুজনে ছিল আমাদের বান্দাদের মধ্য থেকে দুজন সৎকর্মশীল বান্দার অধীন। তারপর তারা দুজনই খিয়ানত করেছিল। সুতরাং কাজে আসেনি তাদের দুজনের জন্য আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে কোনকিছুই। আর বলা হয়েছিল, ‘তোমরা উভয়ে প্রবেশ কর (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশকারীদের সাথে’।

৬৬:১১
ওয়া দরাবাল্লাহু মাছালাল লিল্লাযীনা আমানুমরআতা ফিরআউনা = আর আল্লাহ দৃষ্টান্ত পেশ করছেন তাদের জন্য যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে ফিরআউনের স্ত্রীর। ইয = যখন। ক্বলাত = সে বলেছিল। রব্বিবনি লী = হে আমার রব, আমার জন্য বানান। ইনদাকা = আপনার কাছে। বায়তান ফী জান্নাতি = জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর। ওয়া = আর। নাজ্জিনী = আমাকে নাজাত/ মুক্তি দিন। মিন ফিরআউনা ওয়া আমালিহী = ফিরাউনের ও তার আমলের থেকে। ওয়া = আর। নাজ্জিনী = আমাকে নাজাত/ মুক্তি দিন। মিনাল ক্বাওমিয যলিমীনা = যালিমদের কওমের থেকে।

আর আল্লাহ দৃষ্টান্ত পেশ করছেন তাদের জন্য যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে ফিরআউনের স্ত্রীর, যখন সে বলেছিল, ‘হে আমার রব, আমার জন্য বানান আপনার কাছে জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর আর আমাকে নাজাত/ মুক্তি দিন ফিরআউনের ও তার আমলের থেকে। আর আমাকে নাজাত/ মুক্তি দিন যালিমদের কওম থেকে।

৬৬:১২
ওয়া মারইয়ামাবনাতা ইমরানাল্লাতী = আর ইমরানের কন্যা মারিয়ামের (দৃষ্টান্তও পেশ করছেন), যে। আহসনাত = সংরক্ষণ করেছিল। ফারজাহা = তার লজ্জাস্থানকে। ফানাফাখনা = সুতরাং আমরা ফুঁকে দিয়েছিলাম। ফীহি = তার মধ্যে। মির রূহিনা = আমাদের রুহ থেকে। ওয়া সদ্দাক্বাত = আর সে সত্যতা স্বীকার করেছিল। বিকালিমাতি রব্বিহা = তার রবের কালেমাসমূহের/ বাণীসমূহের। ওয়া কুতুবিহী = ও তাঁর কিতাবসমূহের। ওয়া ক্বানাত মিনাল ক্বানিতীনা = আর সে বিনয়ীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

আর ইমরানের কন্যা মারিয়ামের (দৃষ্টান্তও পেশ করছেন), যে সংরক্ষণ করেছিল তার লজ্জাস্থানকে। সুতরাং আমরা ফুঁকে দিয়েছিলাম তার মধ্যে আমাদের রুহ থেকে। আর সে সত্যতা স্বীকার করেছিল তার রবের কালেমাসমূহের/ বাণীসমূহের ও তাঁর কিতাবসমূহের। আর সে বিনয়ীদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।