কুরআনান আ'জাবান

বিস্ময়কর কুরআন

শব্দার্থ ভিত্তিক বাংলা অনুবাদ, তৈয়াবুর রহমান গোপালগঞ্জী

Quranan Ajaban Cover

064. সূরা তাগাবুন

হে আমার প্রভু, আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে, আশ্রয় চাই এর উপস্থিতি থেকে। পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু সর্বশক্তিমানের নামে।

৬৪:১
ইউছাব্বিহু লিল্লাহি = আল্লাহর তাসবীহ/ পবিত্রতা প্রকাশ করছে। মা ফিছ ছামাওয়াতি = যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে। ওয়া মা ফিল আরদি = আর যা কিছু আছে পৃথিবীতে। লাহুল মুলকু = তাঁরই আয়ত্তে মুলক/ আধিপত্য। ওয়া লাহুল হামদু = আর তাঁরই জন্য হামদ/ প্রশংসা। ওয়া = আর। হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীরুন = তিনি সকল সত্তা ও বিষয়ের উপর প্রাকৃতিক আইন নির্ধারণকারী ও সর্বশক্তিমান নিয়ন্ত্রণকারী।

আল্লাহর তাসবীহ/ পবিত্রতা প্রকাশ করছে যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে আর যা কিছু আছে পৃথিবীতে। তাঁরই আয়ত্তে মুলক/ আধিপত্য আর তাঁরই জন্য হামদ/ প্রশংসা। আর তিনি সকল সত্তা ও বিষয়ের উপর প্রাকৃতিক আইন নির্ধারণকারী ও সর্বশক্তিমান নিয়ন্ত্রণকারী।

৬৪:২
হুয়াল্লাযী = তিনিই সেই সত্তা যিনি। খালাক্বাকুম = তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। ফামিনকুম = তারপর তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ। কাফিরুন = কাফির/ অবিশ্বাসী। ওয়া = আর। মিনকুম = তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ। মু’মিনুন = মু’মিন/ বিশ্বাসী। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। বিমা তা’মালূনা বাসীরুন = তোমাদের আমলের ব্যাপারে বাসীর/ দৃষ্টিবান।

তিনিই সেই সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তারপর তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ কাফির/ অবিশ্বাসী আর তোমাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মু’মিন/ বিশ্বাসী। আর আল্লহ তোমাদের আমলের ব্যাপারে বাসীর/ দৃষ্টিবান।

৬৪:৩
খালাক্বাছ ছামাওয়াতা ওয়াল আরদা = তিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী। বিল হাক্বক্বি = যথাযথভাবে। ওয়া = আর। সওয়ারাকুম = তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন। ফাআহছানা = তারপর উত্তম করেছেন। সুওয়ারাকুম = তোমাদের আকৃতিগুলো। ওয়া = আর। ইলাইহিল মাসীরু = তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনস্থল/ ফিরে যাবার স্থান।

তিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী যথাযথভাবে। আর তিনি তোমাদেরকে আকৃতি দিয়েছেন, তারপর উত্তম করেছেন তোমাদের আকৃতিগুলো। আর তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনস্থল/ ফিরে যাবার স্থান।

৬৪:৪
ইয়া’লামু = তিনি জানেন। মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি = যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে। ওয়া = আর। ইয়া’লামু = তিনি জানেন। মা তুছিররূনা = যা তোমরা গোপন কর। ওয়া = ও। মা তু’লিনূনা = যা তোমরা প্রকাশ কর। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। আলীমুম বিযাতিস সুদূরি = সদরসমূহের/ মস্তিষ্কসমূহের চিন্তাচেতনা সম্পর্কে জানেন।

তিনি জানেন যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে। আর তিনি জানেন যা তোমরা গোপন কর ও যা তোমরা প্রকাশ কর। আর আল্লাহ সদরসমূহের/ মস্তিষ্কসমূহের চিন্তাচেতনা সম্পর্কে জানেন।

৬৪:৫
আলাম ইয়া’তিকুম = তোমাদের কাছে কি আসেনি। নাবাউল্লাযীনা কাফারূ = তাদের সংবাদ যারা কুফর করেছিল। মিন ক্বাবলু = ইতিপূর্বে। ফাযাক্বূ = তারপর তারা স্বাদ গ্রহণ করেছিল। ওয়াবালা আমরিহিম = তাদের কাজসমূহের কুফলের (স্বাদ)। ওয়া = আর। লাহুম = তাদের জন্য আছে। আযাবুন আলীমুন = আযাবুন আলীম/ কষ্টদায়ক শাস্তি।

তোমাদের কাছে কি আসেনি তাদের সংবাদ যারা কুফর করেছিল ইতিপূর্বে? তারপর তারা স্বাদ আস্বাদন করেছিল তাদের কাজসমূহের কুফলের (স্বাদ)। আর তাদের জন্য আছে আযাবুন আলীম/ কষ্টদায়ক শাস্তি।

৬৪:৬
যালিকা = উহা। বিআন্নাহু = এজন্য যে। কানাত তা’তীহিম = তাদের কাছে আসতো। রুসুলুহুম = তাদের (কাছে প্রেরিত) রসূলগণ। বিল বাইয়িনাতি = বাইয়িনাত/ স্পষ্ট প্রমাণসহ। ফাক্বলূ = তারপর তারা বলেছিল। আবাশারুইঁ ইয়াহদূনানা = মানুষই কি আমাদেরকে হিদায়াত করবে/ পথ দেখাবে? ফাকাফারূ = তারপর তারা কুফর/ অবিশ্বাস করেছিল। ওয়া = আর। তাওয়াল্লাও = তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ওয়াছতাগনাল্লাহু = আর আল্লাহ বেপরোয়া হয়েছেন। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। গানিয়্যুন হামীদুন = গণি/ বেপরোয়া ও হামীদ/ প্রশংসিত।

উহা এজন্য যে, তাদের কাছে আসতো তাদের (কাছে প্রেরিত) রসূলগণ বাইয়িনাত/ স্পষ্ট প্রমাণসহ। তারপর তারা বলেছিল, ‘মানুষই কি আমাদেরকে হিদায়াত করবে/ পথ দেখাবে?’। তারপর তারা কুফর/ অবিশ্বাস করেছিল আর তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। আর আল্লাহ বেপরোয়া হয়েছেন। আর আল্লাহ গণি/ বেপরোয়া ও হামীদ/ প্রশংসিত।

৬৪:৭
যআমাল্লাযীনা কাফারূ = যারা কুফর করেছে তারা দাবি করে। আল্লাইঁ ইউবআছূ = যে কখনো তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে না। ক্বুল = বল। বালা = কেন নয়? ওয়া রব্বী = আমার রবের কসম। লাতুবআছুন্না = অবশ্যই তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে। ছুম্মা = তারপর। লাতুনাব্বাউন্না = অবশ্যই তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে। বিমা আমিলতুম = যা কিছু তোমরা আমল করেছ। ওয়া = আর। যালিকা = উহা। আলাল্লাহি = আল্লাহর জন্য। ইয়াছীরুন = সহজ।

যারা কুফর করেছে তারা দাবি করে যে, কখনো তাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে না। বল, ‘কেন নয়? আমার রবের কসম, অবশ্যই তোমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে। তারপর অবশ্যই তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে যা কিছু তোমরা আমল করেছ। আর উহা আল্লাহর জন্য সহজ’।

৬৪:৮
ফাআমিনূ = সুতরাং তোমরা ঈমান/ বিশ্বাস কর। বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী = আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলের প্রতি। ওয়ান নূরিল্লাযী আনযালনা = আর সেই নূরের/ আলোর (= কুরআনের) প্রতি যা তিনি নাযিল করেছেন। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। বিমা তা’মালূনা খাবীরুন = তোমরা যা কর সে ব্যাপারে খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।

সুতরাং তোমরা ঈমান/ বিশ্বাস কর আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলের প্রতি আর সেই নূরের/ আলোর (= কুরআনের) প্রতি যা তিনি নাযিল করেছেন। আর আল্লাহ তোমরা যা কর সে ব্যাপারে খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।

৬৪:৯
ইয়াওমা = যেদিন। ইয়াজমাউকুম = তিনি তোমাদেরকে জমায়েত করবেন। লিইয়াওমিল জাময়ি = জমায়েতের দিনের জন্য। যালিকা = উহাই। ইয়াওমুত তাগাবুনি = হারজিতের দিন। ওয়া = আর। মাইঁ ইউ’মিম বিল্লাহি = যে ঈমান/ বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি। ওয়া = আর। ইয়া’মাল সলিহান = আমলে সালেহ/ সৎকর্ম করে। ইউকাফফির আনহু = তিনি মোচন করে দেবেন তার থেকে। ছাইয়িআতিহী = তার মন্দসমূহ। ওয়া = আর। ইউদখিলহু = তিনি তাকে দাখিল/ প্রবেশ করাবেন। জান্নাতিন = জান্নাতে। তাজরী = জারি হয়। মিন তাহতিহাল আনহারু = উহার নিচ অংশে নহরসমূহ/ নদীসমূহ। খালিদীনা ফীহা = তারা তাতে স্থায়ী হবে। আবাদান = চিরকাল। যালিকা = উহাই। ফাওযুল আযীমু = মহা সফলতা।

যেদিন তিনি তোমাদেরকে জমায়েত করবেন জমায়েতের দিনের জন্য, উহাই হারজিতের দিন। আর যে ঈমান/ বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি আর আমলে সালেহ/ সৎকর্ম করে, তিনি মোচন করে দেবেন তার থেকে তার মন্দসমূহ, আর তিনি তাকে দাখিল/ প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, জারি হয় যার নিচ অংশে নহরসমূহ/ নদীসমূহ, তারা তাতে স্থায়ী হবে চিরকাল। উহাই মহা সফলতা।

৬৪:১০
ওয়াল্লাযীনা = আর যারা। কাফারূ = কুফর করেছে। ওয়া কাযযাবূ = আর মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। বিআয়াতিনা = আমাদের আয়াতসমূহকে। উলায়িকা আসহাবুন নারি = উহারা আসহাবুন নার (= যারা জাহান্নামের আগুনে শাস্তি পাবে)। খালিদীনা ফীহা = তারা তাতে স্থায়ী হবে। ওয়া = আর। বি’ছাল মাসীরু = উহা অত্যন্ত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।

আর যারা কুফর করেছে আর মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে আমাদের আয়াতসমূহকে, উহারা আসহাবুন নার (= যারা জাহান্নামের আগুনে শাস্তি পাবে), তারা তাতে স্থায়ী হবে। আর উহা অত্যন্ত মন্দ প্রত্যাবর্তনস্থল।

৬৪:১১
মা আসাবা মিম মুসীবাতিন = কোন মুসিবতই হয় না। ইল্লা বিইযনিল্লাহি = আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। ওয়া = আর। মাইঁ ইউ’মিম বিল্লাহি = যে ঈমান/ বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি। ইয়াহদি ক্বালবাহূ = তিনি হিদায়াত করেন তার কলবকে। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। বিকুল্লি শাইয়িন আলীমুন = সবকিছু সম্পর্কে আলীম/ জ্ঞানী।

কোন মুসিবতই হয় না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর যে ঈমান/ বিশ্বাস করে আল্লাহর প্রতি, তিনি হিদায়াত করেন তার কলবকে। আর আল্লাহ সবকিছু সম্পর্কে আলীম/ জ্ঞানী।

৬৪:১২
ওয়া আতিউল্লাহা = আর আল্লাহর ইতায়াত/ আনুগত্য কর। ওয়া আতিউর রসূলা = আর রসূলের ইতায়াত/ আনুগত্য কর। ফাইন = তারপর যদি। তাওয়াল্লায়তুম = তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। ফাইন্নামা = তবে প্রকৃতপক্ষে। আলা রসূলিনা = আমাদের রসূলের উপর দায়িত্ব হচ্ছে। আল বালাগুল মুবীনু = বালাগুল মুবীন/ প্রকাশ্য ও স্পষ্ট প্রচার।

আর আল্লাহর ইতায়াত/ আনুগত্য কর আর রসূলের ইতায়াত/ আনুগত্য কর। তারপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তবে প্রকৃতপক্ষে আমাদের রসূলের উপর দায়িত্ব হচ্ছে বালাগুল মুবীন/ প্রকাশ্য ও স্পষ্ট প্রচার।

৬৪:১৩
আল্লাহু = আল্লাহ। লা ইলাহা ইল্লা হুয়া = কোন ইলাহ নেই তিনি ছাড়া। ওয়া = আর। আলাল্লাহি = আল্লাহরই উপর। ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু’মিনূনা = তাওয়াক্কুল/ ভরসা করুক মু’মিনগণ।

আল্লাহ, কোন ইলাহ নেই তিনি ছাড়া। আর আল্লাহরই উপর তাওয়াক্কুল/ ভরসা করুক মু’মিনগণ।

৬৪:১৪
ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ = হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ। ইন্না = নিশ্চয়। মিন আযওয়াজিকুম ওয়া আওলাদিকুম = তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ও তোমাদের সন্তান সন্ততির মধ্যে কেউ কেউ আছে। আদুওওয়াল লাকুম = তোমাদের শত্রু। ফাহযারূহুম = তোমরা তাদের থেকে সতর্ক থাক। ওয়া = আর। ইন = যদি। তা’ফূ = তোমরা উদারতা প্রদর্শন কর। ওয়া = ও। তাসফাহূ = তোমরা উপেক্ষা কর। ওয়া = আর। তাগফিরূ = তোমরা ক্ষমা করে দাও। ফাইন্নাল্লাহা = তবে নিশ্চয় আল্লাহ। গাফূরুর রহীমুন = গফূর/ ক্ষমাশীল ও রহীম/ দয়াশীল।

হে ঐসব লোক যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছ, নিশ্চয় তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ও তোমাদের সন্তান সন্ততির মধ্যে কেউ কেউ আছে তোমাদের শত্রু। তোমরা তাদের থেকে সতর্ক থাক আর যদি তোমরা উদারতা প্রদর্শন কর ও তোমরা উপেক্ষা কর আর তোমরা ক্ষমা করে দাও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ গফূর/ ক্ষমাশীল ও রহীম/ দয়াশীল।

৬৪:১৫
ইন্নামা = প্রকৃতপক্ষে। আমওয়ালুকুম = তোমাদের মালসম্পদ। ওয়া = আর। আওলাদুকুম = তোমাদের সন্তান সন্ততি। ফিতনাতুন = ফিতনা/ পরীক্ষাস্বরূপ। ওয়াল্লাহু ইনদাহু = আর আল্লাহরই কাছে আছে। আজরুন আযীমুন = মহা প্রতিফল।

প্রকৃতপক্ষে তোমাদের মালসম্পদ আর তোমাদের সন্তান সন্ততি ফিতনা/ পরীক্ষাস্বরূপ। আর আল্লাহরই কাছে আছে মহা প্রতিফল।

৬৪:১৬
ফাত্তাক্বুল্লাহা = সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। মাছতাতা’তুম = যতটা তোমরা পার। ওয়াছমাঊ = আর তোমরা শুন। ওয়া আতিঊ = আর তোমরা ইতায়াত/ আনুগত্য কর। ওয়া আনফিক্বূ খায়রান = আর তোমরা উত্তম জিনিস ইনফাক/ ব্যয় কর। লিআনফুসিকুম = তোমাদের নিজেদেরই জন্য। ওয়া = আর। মাইঁ ইঊক্বা = যে রক্ষা পেল। শুহহা নাফসিহী = তার মনের সংকীর্ণতা থেকে। ফাউলায়িকা হুমুল মুফলিহূনা = তারাই সফলকাম।

সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যতটা তোমরা পার। আর তোমরা শুন আর তোমরা ইতায়াত/ আনুগত্য কর আর তোমরা উত্তম জিনিস ইনফাক/ ব্যয় কর তোমাদের নিজেদেরই জন্য। আর যে রক্ষা পেল তার মনের সংকীর্ণতা থেকে তারাই সফলকাম।

৬৪:১৭
ইন = যদি। তুক্বরিদুল্লাহা = তোমরা আল্লাহকে করয/ ঋণ দাও। ক্বারদান হাসানান = করজে হাসানা/ উত্তম ঋণ। ইউদ্বয়িফহু = তিনি উহাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন। লাকুম = তোমাদের জন্য। ওয়া = আর। ইয়াগফির লাকুম = তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। ওয়াল্লাহু = আর আল্লাহ। শাকূরুন হালীমুন = শাকূর/ কৃতজ্ঞতার মূল্যায়নকারী ও হালীম/ সহনশীল।

যদি তোমরা আল্লাহকে করয/ ঋণ দাও, করজে হাসানা/ উত্তম ঋণ, তিনি উহাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন তোমাদের জন্য। আর তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আর আল্লাহ শাকূর/ কৃতজ্ঞতার মূল্যায়নকারী ও হালীম/ সহনশীল।

৬৪:১৮
আলিমুল গায়বি ওয়াশ শাহাদাতিল আযীযুল হাকীমু = তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানী এবং আযীয/ মহাশক্তিমান ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।

তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের জ্ঞানী এবং আযীয/ মহাশক্তিমান ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।