কুরআনান আ'জাবান

বিস্ময়কর কুরআন

শব্দার্থ ভিত্তিক বাংলা অনুবাদ, তৈয়াবুর রহমান গোপালগঞ্জী

Quranan Ajaban Cover

036. সূরা ইয়া সীন

হে আমার প্রভু, আপনার কাছে আশ্রয় চাই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে, আশ্রয় চাই এর উপস্থিতি থেকে। পরম করুনাময় ও অসীম দয়ালু সর্বশক্তিমানের নামে।

৩৬:১
ইয়াসীন = ইয়াসীন।

ইয়াসীন।

৩৬:২
ওয়াল ক্বুরআনিল হাকীমি = শপথ বিজ্ঞানময়/ বিজ্ঞতাপূর্ণ কুরআনের।

শপথ বিজ্ঞানময়/ বিজ্ঞতাপূর্ণ কুরআনের।

৩৬:৩
ইন্নাকা = নিশ্চয় তুমি। লামিনাল মুরছালীনা = রসূলদের অন্তর্ভুক্ত।

নিশ্চয় তুমি রসূলদের অন্তর্ভুক্ত।

৩৬:৪
আলা সিরাতিম মুসতাক্বীমিন = (তুমি) সিরাতুল মুসতাক্বীমের/ সরল সঠিক পথের উপর (আছো)।

(তুমি) সিরাতুল মুসতাক্বীমের/ সরল সঠিক পথের উপর (আছো)।

৩৬:৫
তানযীলাল আযীযির রহীমি = (এ কুরআন) আযীয/ মহাশক্তিমান ও রহীম/ দয়াশীল সত্তার (= আল্লাহর) পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।

(এ কুরআন) আযীয/ মহাশক্তিমান ও রহীম/ দয়াশীল সত্তার (= আল্লাহর) পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।

৩৬:৬
লিতুনযিরা = তুমি সতর্ক করো। ক্বাওমান = এমন এক কওমকে। মা উনযিরা = সতর্ক করা হয়নি। আবাউহুম = যাদের বাপদাদাকে। ফাহুম = যার ফলে তারা। গাফিলূনা = গাফেল/ উদাসীন।

তুমি সতর্ক করো এমন এক কওমকে, সতর্ক করা হয়নি যাদের বাপদাদাকে, যার ফলে তারা গাফেল/ উদাসীন।

৩৬:৭
লাক্বাদ = নিশ্চয়। হাক্বক্বাল ক্বাওলু আলা আকছারিহিম = তাদের অধিকাংশই শাস্তি সম্পর্কিত বাণী কার্যকর হওয়ার হক্বদার হয়ে গেছে। ফাহুম = তাই তারা। লা ইউ’মিনূনা = ঈমান/ বিশ্বাস করে না/ করবে না।

নিশ্চয় তাদের অধিকাংশই শাস্তি সম্পর্কিত বাণী কার্যকর হওয়ার হক্বদার হয়ে গেছে। তাই তারা ঈমান/ বিশ্বাস করে না/ করবে না।

৩৬:৮
ইন্না = নিশ্চয় আমরা। জাআলনা = স্থাপন করেছি। ফী আ’নাক্বিহিম = তাদের গলাসমূহে। আগলালান = বেড়িসমূহ। ফাহিয়া = তারপর তা। ইলাল আযক্বানি = চিবুকসমূহ পর্যন্ত (শৃংখলিত থাকে)। ফাহুম মুক্বমাহূনা = ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।

নিশ্চয় আমরা স্থাপন করেছি (পরিয়ে দিয়েছি) তাদের গলাসমূহে বেড়িসমূহ, তারপর তা চিবুকসমূহ পর্যন্ত (শৃংখলিত থাকে)। ফলে তারা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে আছে।

৩৬:৯
ওয়া = আর। জাআলনা = আমরা স্থাপন করেছি। মিম বায়নি আয়দীহিম ছাদ্দাওঁ ওয়া মিন খালফিহিম ছাদ্দাওঁ = তাদের সামনে একটি প্রাচীর এবং তাদের পিছনে একটি প্রাচীর। ফাআগশায়নাহুম = এভাবে আমরা তাদেরকে আচ্ছাদিত করেছি। ফাহুম = সুতরাং তারা। লা ইউবসিরূনা = দেখতে পায় না।

আর আমরা স্থাপন করেছি তাদের সামনে একটি প্রাচীর এবং তাদের পিছনে একটি প্রাচীর। এভাবে আমরা তাদেরকে আচ্ছাদিত করেছি। সুতরাং তারা দেখতে পায় না।

৩৬:১০
ওয়া = আর। ছাওয়াউন আলাইহিম = তাদের উপর সমান যে। আআনযারতাহুম = তুমি কি তাদেরকে সতর্ক করেছো। আম = নাকি। লাম তুনযিরহুম = তুমি তাদেরকে সতর্ক করোনি? লা ইউ’মিনূনা = তারা ঈমান/ বিশ্বাস করে না/ করবে না।

আর তাদের উপর সমান যে, তুমি কি তাদেরকে সতর্ক করেছো নাকি তুমি তাদেরকে সতর্ক করোনি?, তারা ঈমান/ বিশ্বাস করে না/ করবে না।

৩৬:১১
ইন্নামা = নিশ্চয়। তুনযিরু = তুমি সতর্ক করতে পারো। মানিত্তাবায়ায যিকরা = তাকে যে ইত্তেবা/ অনুসরণ করে যিকরা/ স্মরণিকা/ সংবিধান (= আল কুরআন)। ওয়া = আর। খাশিয়ার রহমানা বিল গায়বি = ভয় করে রহমানকে/ দয়াময়কে (= আল্লাহকে) অদেখা সত্ত্বেও। ফাবাশশিরহু = সুতরাং তুমি তাকে সুসংবাদ দাও। বিমাগফিরাতিওঁ ওয়া আজরিন কারীমিন = মাগফিরাতের/ ক্ষমার এবং সম্মানজনক রিযিকের।

নিশ্চয় তুমি সতর্ক করতে পারো তাকে যে ইত্তেবা/ অনুসরণ করে যিকরা/ স্মরণিকা/ সংবিধান (= আল কুরআন) আর ভয় করে রহমানকে/ দয়াময়কে (= আল্লাহকে) অদেখা সত্ত্বেও। সুতরাং তুমি তাকে সুসংবাদ দাও মাগফিরাতের/ ক্ষমার এবং সম্মানজনক রিযিকের।

৩৬:১২
ইন্না নাহনু = নিশ্চয় আমরা। নুহয়িল মাওতা = জীবিত করবো মৃতদেরকে। ওয়া = আর। নাকতুবু = আমরা লিখে যাচ্ছি। মা ক্বাদ্দামূ ওয়া আছারাহুম = যা সে আগে পাঠায় (= তার কৃতকর্ম) ও যা সে পিছনে রেখে যায় (= তার কৃতকর্মের প্রতিক্রিয়া)। ওয়া = আর। কুল্লা শাইয়িন = সবকিছু। আহসয়নাহু = আমরা সংরক্ষিত করেছি। ফী ইমামিম মুবীনিন = প্রকাশ্য/ স্পষ্ট ইমামের/ কিতাবের/ আমলনামার মধ্যে।

নিশ্চয় আমরা জীবিত করবো মৃতদেরকে। আর আমরা লিখে যাচ্ছি যা সে আগে পাঠায় (= তার কৃতকর্ম) ও যা সে পিছনে রেখে যায় (= তার কৃতকর্মের প্রতিক্রিয়া)। আর সবকিছু আমরা সংরক্ষিত করেছি প্রকাশ্য/ স্পষ্ট ইমামের/ কিতাবের/ আমলনামার মধ্যে।

৩৬:১৩
ওয়াদরিব = আর পেশ করো। লাহুম = তাদের জন্য। মাছালান আসহাবাল ক্বারইয়াতি = একটি জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত। ইয = যখন। জাআহাল মুরছালূনা = সেখানে রসূলগণ এসেছিলো।

আর পেশ করো তাদের জন্য একটি জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত। যখন সেখানে রসূলগণ এসেছিলো।

৩৬ :১৪
ইয = যখন। আরছালনা = আমরা প্রেরণ করেছিলাম। ইলাইহিমুছনায়নি = তাদের প্রতি দুজন (রসূল)। ফাকাযযাবূহুমা = তারপর তারা তাদের দুজনকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিলো। ফাআযযাযনা = তখন আমরা সাহায্য করেছিলাম। বিছালিছিন = তৃতীয় একজন (রসূল) দিয়ে। ফাক্বলূ = তারপর তারা বলেছিলো। ইন্না = নিশ্চয় আমরা। ইলাইকুম মুরছালূনা = তোমাদের প্রতি রসূল হিসাবে প্রেরিত।

যখন আমরা প্রেরণ করেছিলাম তাদের প্রতি দুজন (রসূল)। তখন তারা তাদের দুজনকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছিলো। তারপর আমরা সাহায্য করেছিলাম তৃতীয় একজন (রসূল) দিয়ে। তারপর তারা বলেছিলো, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি রসূল হিসাবে প্রেরিত।

৩৬:১৫
ক্বলূ = লোকেরা বলেছিলো। মা আনতুম = তোমরা নও। ইল্লা বাশারুম মিছলুনা = আমাদের মতো মানুষ ছাড়া অন্য কিছু। ওয়া = আর। মা আনযালার রহমানু মিন শাইয়িন = রহমান/ দয়াময় কিছুই নাযিল করেননি। ইন আনতুম ইল্লা তাকযিবূনা = তোমরা মিথ্যা ছাড়া বলছো না।

লোকেরা বলেছিলো, ‘তোমরা নও আমাদের মতো মানুষ ছাড়া অন্য কিছু। আর রহমান/ দয়াময় কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা মিথ্যা ছাড়া বলছো না’।

৩৬:১৬
ক্বলূ = তারা বলেছিলো। রব্বুনা = আমাদের রব। ইয়া’লামু = জানেন। ইন্না = নিশ্চয় আমরা। ইলাইকুম = তোমাদের প্রতি। লামুরছালূনা = রসূল হিসাবে প্রেরিত।

তারা বলেছিলো, ‘আমাদের রব জানেন নিশ্চয় আমরা তোমাদের প্রতি রসূল হিসাবে প্রেরিত।

৩৬:১৭
ওয়া = আর। মা আলাইনা = আমাদের উপর দায়িত্ব নেই। ইল্লাল বালাগুল মুবীনু = বালাগুল মুবীন/ প্রকাশ্য ও স্পষ্ট প্রচার ছাড়া।

আর আমাদের উপর দায়িত্ব নেই বালাগুল মুবীন/ প্রকাশ্য ও স্পষ্ট প্রচার ছাড়া’।

৩৬:১৮
ক্বলূ = লোকেরা বলেছিলো। ইন্না = নিশ্চয় আমরা। তাতাইয়ারনা বিকুম = তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। লাইল্লাম তানতাহূ = যদি তোমরা বিরত না হও। লানারজুমান্নাকুম = তাহলে আমরা তোমাদেরকে রজম/ পাথর নিক্ষেপে হত্যা করবো। ওয়া = আর। লাইয়ামাছছান্নাকুম = অবশ্যই তোমাদেরকে স্পর্শ করবে। মিন্না = আমাদের পক্ষ থেকে। আযাবুন আলীমুন = আযাবুন আলীম/ কষ্টদায়ক শাস্তি।

লোকেরা বলেছিলো, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও, তাহলে আমরা তোমাদেরকে রজম/ পাথর নিক্ষেপে হত্যা করবো, আর অবশ্যই তোমাদেরকে স্পর্শ করবে আমাদের পক্ষ থেকে আযাবুন আলীম/ কষ্টদায়ক শাস্তি’।

৩৬:১৯
ক্বলূ = তারা (= রসূলগণ) বলেছিলো। তয়িরুকুম = তোমাদের অমঙ্গলের কারণ। মাআকুম = তোমাদের সাথে। আইন যুক্কিরতুম = তবুও কি যদিও তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। বাল = বরং। আনতুম = তোমরা। ক্বাওমুম মুছরিফূনা = অপচয়কারী/ সীমালংঘনকারী কওম।

তারা (= রসূলগণ) বলেছিলো, ‘তোমাদের অমঙ্গলের কারণ তোমাদের সাথে। তবুও কি যদিও তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। বরং তোমরা অপচয়কারী/ সীমালংঘনকারী কওম’।

৩৬:২০
ওয়া = আর। জাআ = এসেছিলো। মিন আক্বসাল মাদীনাতি = মদীনার/ শহরের উপকণ্ঠ থেকে। রজুলুন = একজন পুরুষ। ইয়াছআ = দৌড়ে। ক্বলা = সে বলেছিলো। ইয়া ক্বাওমিত তাবিউল মুরছালীনা = হে আমার কওম, তোমরা রসূলদের ইত্তেবা/ অনুসরণ করো।

আর এসেছিলো মদীনার/ শহরের উপকণ্ঠ থেকে একজন পুরুষ, দৌড়ে (এসেছিলো)। সে বলেছিলো, ‘হে আমার কওম, তোমরা রসূলদের ইত্তেবা/ অনুসরণ করো।

৩৬:২১
ইত্তাবিঊ = তোমরা ইত্তেবা/ অনুসরণ করো। মাল্লা ইয়াছআলুকুম = এমন ব্যক্তির যে তোমাদের কাছে চায় না। আজরান = কোন প্রতিফল/ পারিশ্রমিক/ মজুরি। ওয়া = আর। হুম = তারা। মুহতাদূনা = হিদায়াতপ্রাপ্ত।

তোমরা ইত্তেবা/ অনুসরণ করো এমন ব্যক্তির যে তোমাদের কাছে চায় না কোন প্রতিফল/ পারিশ্রমিক/ মজুরি। আর তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত।

৩৬:২২
ওয়া = আর। মা লিয়া = আমার কী হয়েছে যে,। লা আ’বুদুল্লাযী = আমি আল্লাহর ইবাদাত/ দাসত্ব/ উপাসনা করবো না। আল্লাযী = যিনি। ফাতারানী = আমাকে সৃষ্টি করেছেন। ওয়া = আর। ইলাইহি = তাঁরই দিকে। তুরজাঊনা = তোমরা ফিরে যাবে।

আর আমার কী হয়েছে যে, আমি আল্লাহর ইবাদাত/ দাসত্ব/ উপাসনা করবো না, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন?; আর তাঁরই দিকে তোমরা ফিরে যাবে।

৩৬:২৩
আআত্তাখিযু = আমি কি গ্রহণ করবো? মিন দূনিহী = তাঁকে ছাড়া। আলিহাতান = অন্য ইলাহদেরকে। ইইঁ ইউরিদনির রহমানু = যদি আমাকে চান রহমান/ দয়াময়। বিদুররিন = কোন ক্ষতি করতে। লা তুগনি = তবে কাজে আসবে না। আন্নী = আমার ব্যাপারে। শাফাআতুহুম = তাদের শাফায়াত/ সুপারিশ। শাইয়ান = কিছুমাত্রও। ওয়া = আর। লা ইউনক্বিযূনি = তারা আমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।

আমি কি গ্রহণ করবো তাঁকে ছাড়া অন্য ইলাহদেরকে? যদি আমাকে চান রহমান/ দয়াময় কোন ক্ষতি করতে, তবে কাজে আসবে না আমার ব্যাপারে তাদের শাফায়াত/ সুপারিশ, কিছুমাত্রও। আর তারা আমাকে উদ্ধার করতে পারবে না।

৩৬:২৪
ইন্নী = নিশ্চয় আমি। ইযাল্লাফী দলালিম মুবীনিন = তখন প্রকাশ্য/ স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে (পড়ে যাব)।

নিশ্চয় আমি তখন প্রকাশ্য/ স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে (পড়ে যাব)।

৩৬:২৫
ইন্নী = নিশ্চয় আমি। আমানতু = ঈমান/ বিশ্বাস করেছি। বিরব্বিকুম = তোমাদের রবের প্রতি। ফাছমাঊনি = সুতরাং তোমরা আমার কথা শুনো।

নিশ্চয় আমি ঈমান/ বিশ্বাস করেছি তোমাদের রবের প্রতি। সুতরাং তোমরা আমার কথা শুনো’।

৩৬:২৬
ক্বীলাদখুলিল জান্নাতা = (তারা তাকে হত্যা করে ফেলেছিলো এবং তখন) তাকে বলা হয়েছিলো, ‘দাখিল হও/ প্রবেশ করো জান্নাতে’। ক্বলা = সে বলেছিলো। ইয়া লায়তা = হায়! আফসোস!। ক্বাওমী = আমার কওম। ইয়া’লামূনা = যদি জানতো!

(তারা তাকে হত্যা করে ফেলেছিলো এবং তখন) তাকে বলা হয়েছিলো, ‘দাখিল হও/ প্রবেশ করো জান্নাতে’। সে বলেছিলো, ‘হায়! আফসোস! আমার কওম যদি জানতো!

৩৬:২৭
বিমা = কী কারণে। গাফারালী = আমাকে ক্ষমা করেছেন। রব্বী = আমার রব। ওয়া = আর। জাআলানী = আমাকে করেছেন। মিনাল মুকরমীনা = সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত।

কী কারণে আমাকে ক্ষমা করেছেন আমার রব আর (কী কারণে তিনি) আমাকে করেছেন সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত’।

৩৬:২৮
ওয়া = আর। মা আনযালনা = আমরা নাযিল/ অবতরণ করিনি। আলা ক্বাওমিহী = তার কওমের উপর। মিম বা’দিহী = তার পরবর্তীতে। মিন জুনদিম মিনাছ ছামায়ি = আকাশ থেকে কোন সেনাবাহিনী। ওয়া = আর। মা কুন্না মুনযিলীনা = আমরা অন্য কিছু নাযিলকারীও হইনি।

আর আমরা নাযিল/ অবতরণ করিনি তার কওমের উপর তার পরবর্তীতে আকাশ থেকে কোন সেনাবাহিনী। আর আমরা অন্য কিছু নাযিলকারীও হইনি।

৩৬:২৯
ইন কানাত = উহা কিছু ছিলো না। ইল্লা সয়হাতাওঁ ওয়াহিদাতান = একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দ ছাড়া। ফাইযা = সুতরাং তখন। হুম = তারা। খামিদূনা = নিস্তব্ধ হয়ে গেলো।

উহা কিছু ছিলো না একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দ ছাড়া। সুতরাং তখন তারা নিস্তব্ধ হয়ে গেলো।

৩৬:৩০
ইয়া হাছরাতান = হায়! আফসোস! আলাল ইবাদি = বান্দাদের উপর। মা ইয়া’তীহিম = তাদের কাছে আসেনি। মির রসূলিন = কোন রসূল। ইল্লা কানূ বিহী ইয়াছতাহযিঊনা = এছাড়া যে, তারা তার সাথে ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছিলো।

হায়! আফসোস! বান্দাদের উপর। তাদের কাছে আসেনি কোন রসূল এছাড়া যে, তারা তার সাথে ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছিলো।

৩৬:৩১
আলাম ইয়ারাও = তারা কি দেখেনি। কাম = কত যে। আহলাকনা = আমরা হালাক/ ধ্বংস করেছি। ক্বাবলাহুম = তাদের আগে। মিনার ক্বুরূনি = যুগাযুগান্তরের লোকদেরকে। আন্নাহুম = নিশ্চয় তারা। ইলাইহিম = তাদের নিকট। লা ইয়ারজিঊনা = ফিরে আসবে না।

তারা কি দেখেনি, কত যে আমরা হালাক/ ধ্বংস করেছি তাদের আগে যুগাযুগান্তরের লোকদেরকে। নিশ্চয় তারা তাদের নিকট ফিরে আসবে না।

৩৬:৩২
ওয়া = আর। ইন কুল্লুল্লাম্মা = কেউ নেই এছাড়া যে। জামীউল্লাদায়না = সকলকেই আমাদের কাছে। মুহদরূনা = উপস্থিত করা হবে।

কেউ নেই এছাড়া যে, সকলকেই আমাদের কাছে উপস্থিত করা হবে।

৩৬:৩৩
ওয়া = আর। আয়াতুল্লাহুমুল আরদুল মাইতাতু = একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য আছে মৃত/ শুষ্ক ভূমি। আহইয়ায়নাহা = আমরা উহাকে সঞ্জীবিত করি। ওয়া = আর। আখরাজনা = আমরা বের করি। মিনহা = উহা থেকে। হাব্বান = শস্যদানা। ফামিনহু = তারপর উহা থেকে। ইয়া’কুলূনা = তারা খায়।

আর একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য মৃত/ শুষ্ক ভূমি। আমরা উহাকে সঞ্জীবিত করি। আর আমরা বের করি উহা থেকে শস্যদানা। তারপর উহা থেকে তারা খায়।

৩৬:৩৪
ওয়া = আর। জাআলনা = আমরা বানিয়েছি। ফীহা = উহাতে। জান্নাতিম মিন নাখীলিওঁ ওয়া আ’নাবিন = খেজুরের ও আঙ্গুরের বাগান। ওয়া = আর। ফাজ্জারনা = আমরা প্রবাহিত করেছি। ফীহা মিনাল উয়ূনি = উহাতে ঝর্ণাসমূহ।

আর আমরা বানিয়েছি উহাতে খেজুরের ও আঙ্গুরের বাগান। আর আমরা প্রবাহিত করেছি উহাতে ঝর্ণাসমূহ।

৩৬:৩৫
লিইয়া’কুলূ = যেন তারা খেতে পারে। মিন ছামারিহী = উহার ফলফলাদি। ওয়া = আর। মা আমিলাতহু আয়দীহিম = উহার সৃষ্টিতে কাজ করেনি তাদের হাতসমূহ। আফালা ইয়াশকুরূনা = তবে কি তারা শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?

যেন তারা খেতে পারে উহার ফলফলাদি। আর উহার সৃষ্টিতে কাজ করেনি তাদের হাতসমূহ। তবে কি তারা শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?

৩৬:৩৬
ছুবহানাল্লাযী = পবিত্র সেই সত্তা যিনি। খালাক্বাল আযওয়াজা = সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। কুল্লাহা = সবকিছুকে। মিম্মা তুমবিতুল আরদু = যা কিছু আছে পৃথিবীতে। ওয়া = আর। মিন আনফুসিহিম = তাদের নিজেদের মধ্য থেকেও। ওয়া = আর। লা ইয়া’লামূনা = যা কিছুকে এখনো তারা জানে না।

পবিত্র সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায় সবকিছুকে যা কিছু আছে পৃথিবীতে, আর তাদের নিজেদের মধ্য থেকেও, আর যা কিছুকে এখনো তারা জানে না।

৩৬:৩৭
ওয়া = আর। আয়াতুল্লাহুমুল্লাইলু = একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য রাত। নাছলাখু = আমরা অপসারিত করি/ সরিয়ে দিই। মিনহুন্নাহারা = উহা থেকে দিনকে। ফাইযা = সুতরাং তখন। হুম = তারা। মুজলিমূনা = অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

আর একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য রাত। আমরা অপসারিত করি/ সরিয়ে দিই উহা থেকে দিনকে। সুতরাং তখন তারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়।

৩৬:৩৮
ওয়াশ শামছু = আর সূর্য। তাজরী = উহা আবর্তন করে। লিমুছতাক্বাররিল্লাহা = উহার নির্দিষ্ট অবস্থানে। যালিকা = উহা। তাক্বদীরুল আযীযিল আলীমি = আযীয/ মহাশক্তিমান ও আলীম/ মহাজ্ঞানী সত্তার নির্ধারিত প্রাকৃতিক আইন.

আর সূর্য, উহা আবর্তন করে উহার নির্দিষ্ট অবস্থানে। উহা আযীয/ মহাশক্তিমান ও আলীম/ মহাজ্ঞানী সত্তার নির্ধারিত প্রাকৃতিক আইন।

৩৬:৩৯
ওয়াল ক্বামারা = আর চন্দ্র। ক্বাদ্দারনাহু = আমরা উহার জন্য প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করেছি। মানাযিলা = মনজিলসমূহ। হাত্তা = (চাঁদ প্রতিবার উহার মনজিলসমূহ অতিক্রম করতে থাকে) যতক্ষণ না। আদা = উহা ফিরে যায়। কাল উরজূনিল ক্বাদীমি = খেজুর গাছের পুরাতন ডালের মতো দৃশ্যমান আকৃতিতে।

আর চন্দ্র আমরা উহার জন্য প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী নির্ধারণ করেছি মনজিলসমূহ। (চাঁদ প্রতিবার উহার মনজিলসমূহ অতিক্রম করতে থাকে) যতক্ষণ না উহা ফিরে যায় খেজুর গাছের পুরাতন ডালের মতো দৃশ্যমান আকৃতিতে।

৩৬:৪০
লাশ শামছু ইয়ামবাগী লাহা = সূর্যের ক্ষমতা নেই। আন তুদরিকাল ক্বামারা = চাঁদের নাগাল পাওয়ার। ওয়াল্লাইলা ছাবিক্বুন্নাহারি = আর রাত পারে না দিনের অগ্রগামী হতে। ওয়া = আর। কুল্লুন = প্রত্যেকেই। ফী ফালাকিইঁ ইয়াছবাহূনা = মহাশূন্যে সাঁতার কাটছে।

সূর্যের ক্ষমতা নেই চাঁদের নাগাল পাওয়ার। আর রাত পারে না দিনের অগ্রগামী হতে। আর প্রত্যেকেই মহাশূন্যে সাঁতার কাটছে।

৩৬:৪১
ওয়া = আর। আয়াতুল্লাহুম = একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য। আন্না হামালনা = এই যে, আমরা আরোহন করিয়েছি। যুররিয়াতাহুম = তাদের যুররিয়াতকে/ পূর্বসূরীদেরকে। ফিল ফুলকিল মাশহূনি = ভরা নৌকায়।

আর একটি আয়াত/ নিদর্শন হচ্ছে তাদের জন্য এই যে, আমরা আরোহন করিয়েছি তাদের যুররিয়াতকে/ পূর্বসূরীদেরকে ভরা নৌকায়।

৩৬:৪২
ওয়া = আর। খালাক্বনা = আমরা সৃষ্টি করেছি। লাহুম = তাদের জন্য। মিম মিছলিহী = উহার অনুরূপ (= যেমন উড়োজাহাজ)। মা ইয়ারকাবূনা = যেসবে তারা আরোহন করে।

আর আমরা সৃষ্টি করেছি তাদের জন্য উহার অনুরূপ (= যেমন উড়োজাহাজ), যেসবে তারা আরোহন করে।

৩৬:৪৩
ওয়া = আর। ইন = যদি। নাশা’ = আমরা ইচ্ছা করি। নুগরিক্বহুম = তবে আমরা তাদেরকে ডুবিয়ে দিতে পারি। ফালা সরীখা = তখন তারা কোন আহাজারি শ্রবণকারী পাবে না। লাহুম = তাদের জন্য। ওয়া = আর। লা হুম ইউনক্বাযূনা = তাদেরকে রক্ষাও করা হবে না।

আর যদি আমরা ইচ্ছা করি, তবে আমরা তাদেরকে ডুবিয়ে দিতে পারি। তখন তারা কোন আহাজারি শ্রবণকারী পাবে না তাদের জন্য। আর তাদেরকে রক্ষাও করা হবে না।

৩৬:৪৪
ইল্লা রহমাতাম মিন্না = এছাড়া যে, আমাদের পক্ষ থেকে রহমত/ দয়া (প্রকাশ পায়)। ওয়া = আর। মাতাআন ইলা হীনিন = (আমাদের পক্ষ থেকে) কিছুকাল পর্যন্ত জীবনোপকরণ (পেয়ে থাকে)।

এছাড়া যে, আমাদের পক্ষ থেকে রহমত/ দয়া (প্রকাশ পায়) আর (আমাদের পক্ষ থেকে) কিছুকাল পর্যন্ত জীবনোপকরণ (পেয়ে থাকে)।

৩৬:৪৫
ওয়া = আর। ইযা = যখন। ক্বীলা লাহুমুত তাক্বূ = তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা সাবধান হও। মা বায়না আয়দীকুম = উহার ব্যাপারে যা তোমাদের সামনে আছে। ওয়া মা খালফাকুম = আর যা তোমাদের পিছনে আছে। লাআল্লাকুম তুরহামূনা = যাতে তোমাদের প্রতি রহমত/ অনুগ্রহ করা হয়।

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা সাবধান হও উহার ব্যাপারে যা তোমাদের সামনে আছে আর যা তোমাদের পিছনে আছে, যাতে তোমাদের প্রতি রহমত/ অনুগ্রহ করা হয়।

৩৬:৪৬
ওয়া = আর। মা তা’তীহিম = তাদের কাছে আসেনি। মিন আয়াতিন = কোন আয়াত/ নিদর্শন। মিন আয়াতি রব্বিহিম = তাদের রবের আয়াতসমূহের মধ্য থেকে। ইল্লা কানূ আনহা মু’রিদীনা = এছাড়া যে, তারা ছিলো উহা থেকে বিমুখ/ উহাকে উপেক্ষাকারী।

আর তাদের কাছে আসেনি কোন আয়াত/ নিদর্শন তাদের রবের আয়াতসমূহের মধ্য থেকে, এছাড়া যে, তারা ছিলো উহা থেকে বিমুখ/ উহাকে উপেক্ষাকারী।

৩৬:৪৭
ওয়া = আর। ইযা = যখন। ক্বীলা লাহুম = তাদেরকে বলা হয়। আনফিক্বূ = তোমরা ইনফাক/ ব্যয় করো। মিম্মা রযাক্বাকুমুল্লাহু = তা থেকে যা আল্লাহ তোমাদেরকে রিযিকস্বরূপ দিয়েছেন। ক্বলাল্লাযীনা কাফারূ = তখন তারা বলে যারা কুফর করেছে। লিল্লাযীনা আমানূ = তাদেরকে উদ্দেশ্য করে যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে। আনুত্বয়িমু = আমরা কি খাওয়াবো। মাল্লাও = তাকে যদি। ইয়াশাউল্লাহু = আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তবে। আতআমাহু = যাকে তিনি খাওয়াতেন। ইন আনতুম = তোমরা নেই। ইল্লা ফী দলালিম মুবীনিন = প্রকাশ্য/ স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ছাড়া।

আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ইনফাক/ ব্যয় করো তা থেকে যা আল্লাহ তোমাদেরকে রিযিকস্বরূপ দিয়েছেন’, তখন তারা বলে যারা কুফর করেছে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে যারা ঈমান/ বিশ্বাস করেছে, ‘আমরা কি খাওয়াবো তাকে যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন তবে যাকে তিনি খাওয়াতেন? তোমরা নেই প্রকাশ্য/ স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে ছাড়া’।

৩৬:৪৮
ওয়া = আর। ইয়াক্বূলূনা = তারা বলে। মাতা = কখন বাস্তবায়িত হবে? হাযাল ওয়া’দু = এই ওয়াদা। ইন = যদি। কুনতুম = তোমরা হও। সদিক্বীনা = সত্যবাদী?

আর তারা বলে, ‘কখন বাস্তবায়িত হবে এই ওয়াদা, যদি তোমরা হও সত্যবাদী?’

৩৬:৪৯
মা ইয়ানযুরূনা = তারা অপেক্ষা করছে না। ইল্লা সয়হাতাওঁ ওয়াহিদাতান = একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দের জন্য ছাড়া। তা’খুজুহুম = উহা তাদেরকে পাকড়াও করবে। ওয়া = এ অবস্থায় যে। হুম = তারা। ইয়াখিসসিমূনা = বাকবিতন্ডা করতে থাকবে।

তারা অপেক্ষা করছে না একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দের জন্য ছাড়া। উহা তাদেরকে পাকড়াও করবে এ অবস্থায় যে, তারা বাকবিতন্ডা করতে থাকবে।

৩৬:৫০
ফালা ইয়াছতাত্বীঊনা = সুতরাং তারা পারবে না। তাওসিয়াতান = কোন ওসিয়ত করতে। ওয়া = আর। লা ইলা আহলিহিম ইয়ারজিঊনা = তাদের আহালের/ পরিবারের কাছে ফিরে যেতেও পারবে না।

সুতরাং তারা পারবে না কোন ওসিয়ত করতে, আর তাদের আহালের/ পরিবারের কাছে ফিরে যেতেও পারবে না।

৩৬:৫১
ওয়া = আর। নুফিখা ফিস সূরি = শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। ফাইযা = তারপর তখন। হুম = তারা। মিনাল আজদাছি = কবরসমূহ থেকে। ইলা রব্বিহিম = তাদের রবের দিকে। ইয়ানছিলূনা = দ্রুত বের হয়ে আসবে।

আর শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। তারপর তখন তারা কবরসমূহ থেকে তাদের রবের দিকে দ্রুত বের হয়ে আসবে।

৩৬:৫২
ক্বলূ = তারা বলবে। ইয়া ওয়ায়লানা = হায়! আমাদের দুর্ভোগ! মাম বাআছানা = কে আমাদেরকে সমুত্থিত করলো/ উঠালো। মিম মারক্বাদিনা = আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে? হাযা = ইহাই। মা ওয়াদার রহমানু = তা, যার ওয়াদা দিয়েছিলেন রহমান/ দয়াময় (= আল্লাহ)। ওয়া = আর। সদাক্বাল মুরছালূনা = সত্য বলেছিলো রসূলগণ।

তারা বলবে, ‘হায়! আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে সমুত্থিত করলো/ উঠালো আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে?’ ইহাই তা, যার ওয়াদা দিয়েছিলেন রহমান/ দয়াময় (= আল্লাহ)। আর সত্য বলেছিলো রসূলগণ।

৩৬:৫৩
ইন কানাত = কিছুই হবে না। ইল্লা সয়হাতাওঁ ওয়াহিদাতান = একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দ ছাড়া। ফাইযা = তারপর তখন। হুম = তাদের। জামীউন = সকলকেই। লাদায়না = আমাদের কাছে। মুহদরূনা = উপস্থিত করা হবে।

কিছুই হবে না একটিমাত্র প্রচন্ড শব্দ ছাড়া। তারপর তখন তাদের সকলকেই আমাদের কাছে উপস্থিত করা হবে।

৩৬:৫৪
ফালইয়াওমা = সুতরাং আজ। লা তুযলামু = কোন যুলুম করা হবে না। নাফসুন = কোন ব্যক্তিকে। শাইয়ান = কিছুমাত্রও। ওয়া = আর। লা তুজযাওনা = তোমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে না। ইল্লা মা কুনতুম তা’মালূনা = তোমরা যেরূপ আমল করছিলে তদনুযায়ী ছাড়া।

সুতরাং আজ কোন যুলুম করা হবে না কোন ব্যক্তিকে, কিছুমাত্রও। আর তোমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে না, তোমরা যেরূপ আমল করছিলে তদনুযায়ী ছাড়া।

৩৬:৫৫
ইন্না = নিশ্চয়। আসহাবাল জান্নাতিল ইয়াওমা = আসহাবুল জান্নাত (= যারা জান্নাতে যাবে তারা) আজ। ফী শুগুলিন = আনন্দদায়ক কাজে। ফাকিহূনা = মগ্ন থাকবে।

নিশ্চয় আসহাবুল জান্নাত (= যারা জান্নাতে যাবে তারা) আজ আনন্দদায়ক কাজে মগ্ন থাকবে।

৩৬:৫৬
হুম = তারা। ওয়া = আর। আযওয়াজুহুম = তাদের জোড়া (= স্বামী/ স্ত্রী)। ফী যিলালিন = ছায়ার মধ্যে। আরল আরায়িকি = উচ্চাসনসমূহের উপর। মুত্তাকিঊনা = হেলান দিয়ে বসবে।

তারা আর তাদের জোড়া (= স্বামী/ স্ত্রী) ছায়ার মধ্যে উচ্চাসনসমূহের উপর হেলান দিয়ে বসবে।

৩৬:৫৭
লাহুম = তাদের জন্য আছে। ফীহা = উহাতে (= জান্নাতে)। ফাকিহাতুন = ফলফলাদি। ওয়া = আর। লাহুম = তাদের জন্য আছে। মা ইয়াদ্দাঊনা = যা তারা চাইবে।

তাদের জন্য আছে উহাতে (= জান্নাতে) ফলফলাদি। আর তাদের জন্য আছে যা তারা চাইবে।

৩৬:৫৮
ছালামুন = সালামুন/ শান্তি। ক্বাওলাম মির রব্বির রহীমি = রহীম/ দয়াশীল রবের/ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কওল/ বাণী।

‘সালামুন/ শান্তি’, রহীম/ দয়াশীল রবের/ প্রতিপালকের পক্ষ থেকে কওল/ বাণী (হিসাবে বলা হবে)।

৩৬:৫৯
ওয়ামতাযুল ইয়াওমা = আর তোমরা পৃথক হয়ে যাও আজ। আইয়ুহাল মুজরিমূনা = হে অপরাধীরা।

আর তোমরা পৃথক হয়ে যাও আজ হে অপরাধীরা।

৩৬:৬০
আলাম আ’হাদ = আমি কি আহদ/ ফরমান জারি করিনি। ইলাইকুম = তোমাদের প্রতি। ইয়া বানী আদামা = হে বনী আদম। আল্লা তা’বুদুশ শায়তানু = এ মর্মে যে, তোমরা শয়তানের ইবাদাত/ দাসত্ব করো না। ইন্নাহু = নিশ্চয় সে। লাকুম = তোমাদের জন্য। আদুউউম মুবীনুন = স্পষ্ট শত্রু।

আমি কি আহদ/ ফরমান জারি করিনি তোমাদের প্রতি হে বনী আদম, এ মর্মে যে, তোমরা শয়তানের ইবাদাত/ দাসত্ব করো না। নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু।

৩৬:৬১
ওয়া = আর। আনি’বুদূনী = তোমরা আমার ইবাদাত/ দাসত্ব করো। হাযা = ইহাই। সিরাতুম মুসতাক্বীমু = সিরাতুল মুসতাকীম/ সরল সঠিক পথ।

আর তোমরা আমার ইবাদাত/ দাসত্ব করো। ইহাই সিরাতুল মুসতাকীম/ সরল সঠিক পথ।

৩৬:৬২
ওয়া = আর। লাক্বাদ = নিশ্চয়। আদল্লা = সে বিভ্রান্ত করেছে। মিনকুম = তোমাদের মধ্য থেকে। খিবিল্লান কাছীরান = অধিকাংশ লোককে। আফালাম তাকূনূ তা’ক্বিলূনা = তবুও কি তোমরা আকল/ বিবেক-বুদ্ধি/ common sense প্রয়োগ করছিলে না?

আর নিশ্চয় সে বিভ্রান্ত করেছে তোমাদের মধ্য থেকে অধিকাংশ লোককে। তবুও কি তোমরা আকল/ বিবেক-বুদ্ধি/ common sense প্রয়োগ করছিলে না?

৩৬:৬৩
হাযিহি = এ হচ্ছে। জাহান্নামুল্লাতী কুনতুম তূআদূনা = জাহান্নাম, তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিলো।

এ হচ্ছে জাহান্নাম, তোমাদেরকে যার ওয়াদা দেয়া হয়েছিলো।

৩৬:৬৪
ইসলাওহাল ইয়াওমা = আজ তোমরা উহাতে পুড়তে থাকো। বিমা কুনতুম তাকফুরূনা = তোমরা যে কুফর করছিলে তার কারণে।

আজ তোমরা উহাতে পুড়তে থাকো তোমরা যে কুফর করছিলে তার কারণে।

৩৬:৬৫
আল ইয়াওমা = সেদিন। নাখতিমু = আমরা খতম/ মোহর করে দেবো। আলা আফওয়াহিহিম = তাদের মুখগুলোর উপর। ওয়া = আর। তুকাল্লিমুনা = আমাদের সাথে কথা বলবে। আয়দীহিম = তাদের হাতগুলো। ওয়া = আর। তাশহাদু = সাক্ষ্য দেবে। আরজুলুহুম = তাদের পাগুলো। বিমা = ঐ বিষয়ে যা (যে পাপপূণ্য)। কানূ ইয়াকছিবূনা = তারা উপার্জন করছিলো।

সেদিন আমরা খতম/ মোহর করে দেবো তাদের মুখগুলোর উপর। আর আমাদের সাথে কথা বলবে তাদের হাতগুলো আর সাক্ষ্য দেবে তাদের পাগুলো ঐ বিষয়ে যা (যে পাপপূণ্য) তারা উপার্জন করছিলো।

৩৬:৬৬
ওয়া = আর। লাও = যদি। নাশাউ = আমরা ইচ্ছা করি। লাত্বমাছনা আলা আ’ইউনিহিম = তাহলে আমরা নিষ্প্রভ করে দিতে পারি তাদের চোখগুলোকে। ফাছতাবাক্বূ = তারপর তারা অগ্রসর হয়ে দেখুক। ফাআন্না = তখন কোথা থেকে। ইউবসিরূনা = তারা দেখতে পাবে।

আর যদি আমরা ইচ্ছা করি তাহলে আমরা নিষ্প্রভ করে দিতে পারি তাদের চোখগুলোকে। তারপর তারা অগ্রসর হয়ে দেখুক, তখন কোথা থেকে তারা দেখতে পাবে?

৩৬:৬৭
ওয়া = আর। লাও = যদি। নাশাউ = আমরা ইচ্ছা করি। লামাছাখনাহুম = আমরা তাদেরকে বিকৃত করে দিতে পারি। আলা মাকানাতিহিম = তাদের নিজ নিজ স্থানের উপর। ফামাছতাত্বঊ = তখন তারা পারবে না। মুদ্বিয়্যাওঁ ওয়া লা ইয়ারজিঊনা = আগে যেতে আর পিছনে ফিরতেও (পারবে) না।

আর যদি আমরা ইচ্ছা করি আমরা তাদেরকে বিকৃত করে দিতে পারি তাদের নিজ নিজ স্থানের উপর। তখন তারা পারবে না আগে যেতে আর পিছনে ফিরতেও (পারবে) না।

৩৬:৬৮
ওয়া = আর। মান নুআম্মিরহু = যাকে আমরা দীর্ঘায়ু দান করি। নুনাক্কিছহু = আমরা তার অবনতি ঘটাই। ফিল খালক্বি = সৃষ্টিপ্রকৃতির মধ্যে। আফালা ইয়া’ক্বিলূনা = তবুও কি তারা আকল/ বিবেক-বুদ্ধি/ common sense প্রয়োগ করবে না?

আর যাকে আমরা দীর্ঘায়ু দান করি, আমরা তার অবনতি ঘটাই সৃষ্টিপ্রকৃতির মধ্যে। তবুও কি তারা আকল/ বিবেক-বুদ্ধি/ common sense প্রয়োগ করবে না?

৩৬:৬৯
ওয়া = আর। মা আল্লামনাহুশ শি’রা = আমরা তাকে (= রসূলকে) কবিতা শিখাইনি। ওয়া = আর। মা ইয়ামবাগী লাহু = তার জন্য উহা শোভনীয় নয়। ইন হুয়া = উহা তো নয়। ইল্লা যিকরুন = যিকির/ স্মরণিকা/ সংবিধান। ওয়া = ও। ক্বুরআনুম মুবীনুন = স্পষ্ট কুরআন ছাড়া অন্য কিছু।

আর আমরা তাকে (= রসূলকে) কবিতা শিখাইনি আর তার জন্য উহা শোভনীয় নয়। উহা তো নয় যিকির/ স্মরণিকা/ সংবিধান ও স্পষ্ট কুরআন ছাড়া অন্য কিছু।

৩৬:৭০
লিইউনযিরা মান কানা হাইয়ান = এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করার জন্য যে জীবিত। ওয়া = আর। ইয়াহিক্বক্বাল ক্বাওলু = যেন শাস্তি সম্পর্কিত বাণী বাস্তবায়িত হতে পারে। আলাল কাফিরীনা = কাফিরদের উপর।

এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করার জন্য যে জীবিত। আর যেন শাস্তি সম্পর্কিত বাণী বাস্তবায়িত হতে পারে কাফিরদের উপর।

৩৬:৭১
আওয়ালাম ইয়ারাও = তারা কি দেখেনি। আন্না খালাক্বনা = যে, আমরা সৃষ্টি করেছি। লাহুম = তাদের জন্য। মিম্মা আমিলাত আয়দীনা = তা থেকে যা তৈরি করেছে আমাদের হাতগুলো। আনআমান = (সৃষ্টি করেছি) আনআম/ গবাদি পশু। ফাহুম = তারপর তারা। লাহা = উহার। মালিকূনা = (আমানতদার) মালিক হয়েছে।

তারা কি দেখেনি যে, আমরা সৃষ্টি করেছি তাদের জন্য তা থেকে যা তৈরি করেছে আমাদের হাতগুলো, (সৃষ্টি করেছি) আনআম/ গবাদি পশু। তারপর তারা উহার (আমানতদার) মালিক হয়েছে।

৩৬:৭২
ওয়া = আর। যাল্লালনাহা লাহুম = সেগুলোকে আমরা তাদের আয়ত্তাধীন রেখেছি। ফামিনহা = তারপর সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটি। রকূবুহুম = তাদের বাহন (যেমন উট)। ওয়া = আর। মিনহা = সেগুলোর মধ্য থেকে। ইয়া’কুলূনা = তারা আহারও করে।

আর সেগুলোকে আমরা তাদের আয়ত্তাধীন রেখেছি। তারপর সেগুলোর মধ্য থেকে কোনটি তাদের বাহন (যেমন উট)। আর সেগুলোর মধ্য থেকে তারা আহারও করে।

৩৬:৭৩
ওয়া = আর। লাহুম = তাদের জন্য আছে। ফীহা = সেগুলোর মধ্যে। মানাফিউ = নানারকম উপকারিতা। ওয়া = আর। মাশারিবু = নানা প্রকার পানীয়। আফালা ইয়াশকুরূনা = তবুও কি তারা শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?

আর তাদের জন্য আছে সেগুলোর মধ্যে নানারকম উপকারিতা আর নানা প্রকার পানীয়। তবুও কি তারা শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না?

৩৬:৭৪
ওয়াত্তাখাজূ = আর তারা গ্রহণ করেছে। মিন দূনিল্লাহি = আল্লাহকে ছাড়া অন্যদেরকে। আলিহাতান = ইলাহ হিসাবে। লাআল্লাহুম ইউসরূনা = যেন তাদেরকে সাহায্য করা হয়।

আর তারা গ্রহণ করেছে আল্লাহকে ছাড়া অন্যদেরকে ইলাহ হিসাবে যেন তাদেরকে সাহায্য করা হয়।

৩৬:৭৫
লা ইয়াছতাত্বীঊনা = তারা পারবে না। নাসরাহুম = তাদেরকে সাহায্য করতে। ওয়া = আর। হুম = তারাই হয়ে আছে। লাহুম = তাদের জন্য (= তাদের ইলাহদের জন্য)। জুনদুম মুহদরূনা = (সদা) উপস্থিত সৈন্য।

তারা পারবে না তাদেরকে সাহায্য করতে। আর তারাই হয়ে আছে তাদের জন্য (= তাদের ইলাহদের জন্য সদা) উপস্থিত সৈন্য (অর্থাৎ পাহারাদার)।

৩৬:৭৬
ফালা ইয়াহযুনকা = সুতরাং তোমাকে যেন দু:খ না দেয়। ক্বাওলুহুম = তাদের কথা। ইন্না না’লামু = নিশ্চয় আমরা জানি। মা ইউছিররূনা = যা তারা গোপন করে। ওয়া = আর। মা ইউ’লিনূনা = যা তারা প্রকাশ করে।

সুতরাং তোমাকে যেন দু:খ না দেয় তাদের কথা। নিশ্চয় আমরা জানি যা তারা গোপন করে আর যা তারা প্রকাশ করে।

৩৬:৭৭
আওয়ালাম ইয়ারাল ইনসানু = ইনসান/ মানুষ কি দেখেনি। আন্না = যে, আমরা। খালাক্বনাহু = তাকে সৃষ্টি করেছি। মিন নুত্বফাতিন = নুতফা/ শুক্রবিন্দু থেকে। ফাইযা = তারপর এখন। হুয়া খাসীমুম মুবীনুন = সে স্পষ্ট বিতর্ককারী হয়ে উঠেছে।

ইনসান/ মানুষ কি দেখেনি যে, আমরা তাকে সৃষ্টি করেছি নুতফা/ শুক্রবিন্দু থেকে। তারপর এখন সে স্পষ্ট বিতর্ককারী হয়ে উঠেছে।

৩৬:৭৮
ওয়া = আর। দরাবা = সে পেশ করে। লানা = আমাদের জন্য উপমা। ওয়া = অথচ। নাছিয়া = সে ভুলে যায়। খালক্বাহু = তার সৃষ্টিকে। ক্বলা = সে বলে। মাইঁ ইউহয়িল ইযামা = কে অস্থিতে প্রাণসঞ্চার করবে? ওয়া = এ অবস্থায় যে। হিয়া রমীমুন = তা চূর্ণবিচূর্ণ/ জরাজীর্ণ/ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবে।

আর সে পেশ করে আমাদের জন্য উপমা অথচ সে ভুলে যায় তার সৃষ্টিকে। সে বলে, ‘কে অস্থিতে প্রাণসঞ্চার করবে? এ অবস্থায় যে, তা চূর্ণবিচূর্ণ/ জরাজীর্ণ/ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যাবে?’

৩৬:৭৯
ক্বুল = বলো। ইউহয়ীহাল্লাযী = তিনিই তাতে প্রাণসঞ্চার করবেন যিনি। আনশাআহা = উহা সৃষ্টি করেছেন। আওয়ালা মাররাতিন = প্রথম বার। ওয়া = আর। হুয়া = তিনি। বিকুল্লি খালক্বিন = প্রত্যেক সৃষ্টি সম্পর্কে। আলীমু = আলীম/ পরিজ্ঞাত।

বলো, ‘তিনিই তাতে প্রাণসঞ্চার করবেন যিনি উহা সৃষ্টি করেছেন প্রথম বার। আর তিনি প্রত্যেক সৃষ্টি সম্পর্কে আলীম/ পরিজ্ঞাত।

৩৬:৮০
আল্লাযী = যিনি। জাআলা = সৃষ্টি করেছেন। লাকুম = তোমাদের জন্য। মিনাশ শাজারিল আখদারি = সবুজ গাছ থেকে। নারান = আগুন। ফাইযা = তারপর এখন। আনতুম = তোমরা। মিনহু = উহা থেকে। তূক্বিদূনা = চুলা ধরাও।

যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য সবুজ গাছ থেকে আগুন। তারপর এখন তোমরা উহা থেকে চুলা ধরাও।

৩৬:৮১
আওয়ালায়ছাল্লাযী = তিনি কি নন যিনি। খালাক্বাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা = সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী। বিক্বাদিরিন = সক্ষম। আলা = এক্ষেত্রে। আইঁ ইয়াখলুক্বু = যে, তিনি সৃষ্টি করবেন। মিছলাহুম = উহাদের সদৃশ। বালা = কেন নয়?। ওয়া = আর। হুয়াল খাল্লাক্বুল আলীমু = তিনি খাল্লাক্ব/ সৃষ্টিকর্তা ও আলীম/ মহাজ্ঞানী।

তিনি কি নন, যিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী, সক্ষম এক্ষেত্রে যে, তিনি সৃষ্টি করবেন উহাদের সদৃশ। কেন নয়? আর তিনি খাল্লাক্ব/ সৃষ্টিকর্তা ও আলীম/ মহাজ্ঞানী।

৩৬:৮২
ইন্নামা = নিশ্চয়। আমরুহু = তাঁর আদেশ তো হয়। ইযা = যখন। আরাদা = তিনি এরাদা/ ইচ্ছা করেন। শাইয়ান = কোন কিছু। আইঁ ইয়াক্বূলু = এরূপ যে, তিনি বলেন। লাহু = উহার উদ্দেশ্যে। কুন ফাইয়াকূনু = হও, সুতরাং তা হয়।

নিশ্চয় তাঁর আদেশ তো হয় যখন তিনি এরাদা/ ইচ্ছা করেন কোন কিছু, এরূপ যে, তিনি বলেন উহার উদ্দেশ্যে হও, সুতরাং তা হয়।

৩৬:৮৩
ফাছুবহানাল্লাযী = সুতরাং পবিত্র সেই সত্তা। বিইয়াদিহী = যাঁর হাতে। মালাকূতু কুল্লু শাইয়িন = সবকিছুর মালাকুত/ আধিপত্য। ওয়া = আর। ইলাইহি = তাঁরই কাছে। তুরজাঊনা = তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।

সুতরাং পবিত্র সেই সত্তা যাঁর হাতে সবকিছুর মালাকুত/ আধিপত্য। আর তাঁরই কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে।