৩১:১
আলিফ লাম মীম = আলিফ লাম মীম।
আলিফ লাম মীম।
৩১:২
তিলকা = ইহা। আয়াতুল কিতাবিল হাকীমি = কিতাবুল হাকীমের/ বিজ্ঞতাপূর্ণ কিতাবের আয়াতসমূহ।
এ এক জ্ঞানগর্ভ / নির্দেশনামূলক কিতাবের পাঠ।
৩১:৩
হুদাওঁ ওয়া রহমাতাল লিল মুহসিনীনা = হুদা/ হিদায়াত ও রহমত/ দয়া/অনুগ্রহ, মুহসিনদের/ উত্তম আচরণকারীদের জন্য।
পথ প্রদর্শক ও অনুগ্রহ - উত্তম আচরণকারীদের জন্য।
৩১:৪
আল্লাযীনা = যারা। ইউক্বীমূনাস সালাতা = সালাত কায়েম/ প্রতিষ্ঠা করে। ওয়া = আর। ইউ’তূনায যাকাতা = যাকাত (= পরিশুদ্ধতামূলক প্রদেয়) প্রদান করে। ওয়া = এ অবস্থায় যে। হুম = তারা। বিল আখিরাতি = আখিরাতের প্রতি। হুম ইউক্বিনূনা = ইয়াকীন/ নিশ্চিত ধারণা রাখে।
যারা সংযোগ প্রতিষ্ঠা করে আর পরিশুদ্ধতামূলক প্রদেয় প্রদান করে, এ অবস্থায় যে, আখিরাতের প্রতি নিশ্চিত ধারণা রেখে।
৩১:৫
উলায়িকা = উহারাই। আলা হুদাম্মির রব্বিহিম = তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর আছে। ওয়া = আর। উলায়িকা হুমুল মুফলিহূনা = উহারাই মুফলেহূন/ সফলতা লাভকারী।
তারাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াতের উপর আছে আর তারাই সফলতা লাভকারী।
৩১:৬
ওয়া = আর। মিনান্নাছি = মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছে। মাইঁ ইয়াশতারী = যে কিনে নেয়। লাহওয়াল হাদীসি = লাহওয়াল হাদীস/ মনভুলানো কথা। লিইউদিল্লা = বিভ্রান্ত করার জন্য। আন সাবীলিল্লাহি = আল্লাহর পথ থেকে। বিগায়রি ইলমিন = জ্ঞান ছাড়াই। ওয়া = আর। ইয়াত্তাখিযাহা = উহাকে (= আল্লাহর পথকে) গ্রহণ করে। হুযুওয়ান = ঠাট্টার বিষয়রূপে। উলায়িকা লাহুম = উহারাই এমন লোক যাদের জন্য আছে। আযাবুম মুহীনুন = আযাবুম মুহীন/ অপমানকর শাস্তি।
আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছে যে কিনে নেয় মন-ভুলানো কথা, বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহর পথের জ্ঞান ছাড়াই। আর উহাকে (= আল্লাহর পথকে) গ্রহণ করে ঠাট্টার বিষয়রূপে। এরাই এমন লোক যাদের জন্য আছে অপমানকর শাস্তি।
৩১:৭
ওয়া = আর। ইযা = যখন। তুতলা = তিলাওয়াত/ আবৃত্তি করা হয়। আলাইহি = তার কাছে। আয়াতুনা = আমাদের আয়াতসমূহ। ওয়াল্লা = তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয়। মুছতাকবিরান = অহংকারবশত:। কাআল্লাম ইয়াছমা’হা = যেন সে উহা শুনেনি। কাআন্না = যেন। ফী উযুনাইহি = তার দুই কানে আছে। ওয়াক্বরান = বধিরতা। ফাবাশশিরহু = সুতরাং তাকে সুসংবাদ দাও। বিআযাবিন আলীমিন = আযাবুন আলীমের/ কষ্টদায়ক শাস্তির।
আর যখন আবৃত্তি করা হয় তার কাছে আমাদের আয়াতসমূহ, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় অহংকারবশত:, যেন সে তা শুনেনি, যেন তার দুই কানে আছে বধিরতা। সুতরাং তাকে সুসংবাদ দাও কষ্টদায়ক শাস্তির!
৩১:৮
ইন্নাল্লাযীনা = নিশ্চয় যারা। আমানূ = ঈমান/ বিশ্বাস করেছে। ওয়া = আর। আমিলুস সলিহাতি = আমলে সালেহ/ সৎকর্ম করেছে। লাহুম = তাদের জন্য আছে। জান্নাতুন নায়ীমি = জান্নাতুন নায়ীম/ নেয়ামতপূর্ণ জান্নাত।
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করেছে আর সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য আছে নেয়ামতপূর্ণ বাগান।
৩১:৯
খালিদীনা ফীহা = তাতে তারা স্থায়ী হবে। ওয়া’দাল্লাহি হাক্বক্বান = আল্লাহর ওয়াদা হক্ব/ সত্য। ওয়া = আর। হুয়াল আযীযুল হাকীমু = তিনি আযীয/ মহাশক্তিমান ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।
তাতে তারা স্থায়ী হবে। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। আর তিনি মহাশক্তিমান ও মহাবিজ্ঞ।
৩১:১০
খালাক্বাছ ছামাওয়াতি = তিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী। বিগায়রি আমাদিন = এমন কোন স্তম্ভ ছাড়াই। তারাওনাহা = যা তোমরা দেখছো। ওয়া = আর। আলক্বা = তিনি স্থাপন করেছেন। ফিল আরদি = পৃথিবীতে। রাওয়াছিয়া = পাহাড়সমূহ। আন = যেন না। তামীদা = টলে যায়। বিকুম = তোমাদেরকে নিয়ে। ওয়া = আর। বাছছা = তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফীহা = উহাতে। মিন কুল্লি দাব্বাতিন = প্রত্যেক প্রকারের দাব্বাত/ জীব-জন্তু। ওয়া = আর। আনযালনা = আমরা নাযিল/ বর্ষণ করেছি। মিনাছ ছামায়ি = আকাশ থেকে। মাআন = (বৃষ্টির) পানি। ফাআমবাতনা = তারপর আমরা উদ্গত করি। ফীহা = উহাতে। মিন কুল্লি যাওজিন কারীমিন = প্রত্যেক প্রকার মানসম্পন্ন (উদ্ভিদ) জোড়া।
তিনি সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী এমন কোন স্তম্ভ ছাড়াই, যা তোমরা কাছে দৃশ্যমান। আর তিনি স্থাপন করেছেন পৃথিবীতে পাহাড়সমূহ, যেন না টলে যায় তোমাদেরকে নিয়ে। আর তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন তাতে প্রত্যেক প্রকারের জীব-জন্তু। আর আমরা বর্ষণ করেছি আকাশ থেকে (বৃষ্টির) পানি, তারপর আমরা উদ্গত করি তাতে প্রত্যেক প্রকার মানসম্পন্ন (উদ্ভিদ) জোড়া।
৩১:১১
হাযা = এ হচ্ছে। খালক্বুল্লাহি = আল্লাহর সৃষ্টি। ফাআরুনী = তারপর আমাকে দেখাও। মা যা খালাক্বাল্লাযীনা মিন দূনিহী = তিনি ছাড়া অন্যরা কী সৃষ্টি করেছে? বালিয যলিমূনা = বরং যালিমরা / সত্য লঙ্ঘনকারী। ফী দলালিম মুবীনিন = প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে আছে।
এ হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি। তারপর আমাকে দেখাও তিনি ছাড়া অন্যরা কী সৃষ্টি করেছে? বরং সত্যলঙ্ঘনকারীরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে আছে।
৩১:১২
ওয়া = আর। লাক্বাদ = নিশ্চয়। আতাইনা = আমরা দিয়েছিলাম। লুক্বমানাল হিকমাতা = লুকমানকে হিকমাত/ বিজ্ঞতা। আনিশকুর লিল্লাহি = যেন আল্লাহর শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ওয়া = আর। মাইঁ ইয়াশকুর = যে শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফাইন্নামা = নিশ্চয়। ইয়াশকুর = সে শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। লিনাফসিহী = তার নিজেরই জন্য। ওয়া = আর। মান = যে। কাফারা = কুফর/ অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ফাইন্নাল্লাহা = তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ। গানিয়্যুন হামীদুন = গণি/ অমুখাপেক্ষী ও হামীদ/ প্রশংসিত।
আর নিশ্চয় আমরা দিয়েছিলাম লুকমানকে বিজ্ঞতা, যেন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। আর যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, নিশ্চয় সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তার নিজেরই জন্য। আর যে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও (সদা) প্রশংসিত।
৩১:১৩
ওয়া = আর। ইয = যখন। ক্বলা লুক্বমানু = লুকমান বলেছিলো। লিইবনিহী = তার পুত্রকে। ওয়া = আর। হুয়া = সে। ইয়ায়িযুহু = তাকে উপদেশ দিচ্ছিলো। ইয়া বুনাইয়া = হে আমার পুত্র। লা তুশরিক বিল্লাহি = আল্লাহর সাথে শিরক করো না। ইন্নাশ শিরকা = নিশ্চয় শিরক। লাযুলমুন আযীমুন = সবচেয়ে বড় যুলুম / সত্য লঙ্ঘন।
আর যখন লুকমান বলেছিলো তার পুত্রকে আর সে তাকে উপদেশ দিচ্ছিলো, ‘হে আমার পুত্র, আল্লাহর সাথে শিরক করো না। নিশ্চয় শিরক সবচেয়ে বড় সত্যের লঙ্ঘন’।
৩১:১৪
ওয়া = আর। ওয়াসসয়নাল ইনসানা = আমরা ওয়াসিয়াত/ নির্দেশদান করেছি। বিওয়ালিদায়হি = তার পিতামাতার প্রতি (ইহসান/ সদাচার করতে)। হামালাতহু = তাকে (গর্ভে) বহন করেছে। উম্মুহু = তার মা। ওয়াহনান আলা ওয়াহনিন = কষ্টের উপর কষ্ট সহ্য করে। ওয়া = আর। ফিসালুহু = তাকে দুধ ছাড়ানো হয়। ফী আমাইনি = দুই বছরে। আনিশকুরলী = যেন আমার শোকর/ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। ওয়ালিওয়ালিদায়কা = আর যেন তোমার পিতামাতারও (শোকর করো)। ইলাইয়াল মাসীরু = আমারই দিকে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন/ ফিরে আসা।
আর আমরা নির্দেশদান করেছি তার পিতামাতার প্রতি (সদাচার করতে)। তাকে (গর্ভে) বহন করেছে তার মা কষ্টের উপর কষ্ট সহ্য করে। আর তাকে দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। যেন আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আর যেন তোমার পিতামাতারও (শোকর করো)। আমারই দিকে (তোমাদের) প্রত্যাবর্তন/ ফিরে আসা।
৩১:১৫
ওয়া = আর। ইন = যদি। জাহাদাকা = তারা দুজন তোমার বিপক্ষে জিহাদ/ সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে। আলা = এ কথার উপর। আন = যে। তুশরিকা বী = যেন তুমি আমার সাথে শিরক করো। মা লাইছা লাকা বিহী ইলমুন = যা (সঠিক হওয়া) সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই। ফালা তুতি’হুমা = তাহলে তাদের দুজনের ইতায়াত/ আনুগত্য করো না। ওয়া = তবে। সহিবহুমা = তাদের উভয়ের সাথে ব্যবহার করবে। ফিদ দুনইয়া = দুনিয়াতে। মা’রূফান = ন্যায়সঙ্গতভাবে/ ভদ্রভাবে। ওয়াত্তাবি’ = আর ইত্তেবা/ অনুসরণ করো। ছাবীলা মান = তার (অনুসৃত/ অবলম্বিত) পথ, যে। আনাবা ইলাইয়া = আমার দিকে অভিমুখী হয়েছে। ছুম্মা = তারপর। ইলাইয়া = আমারই কাছে। মারজিউকুম = তোমাদের ফিরে আসার স্থান। ফাউনাব্বিউকুম = তখন আমি তোমাদেরকে সংবাদ দেবো/ জানিয়ে দেবো। বিমা কুনতুম তা’মালূনা = তোমরা যা আমল/ কাজ করতে সে সম্পর্কে।
আর যদি তারা দুজন তোমার বিপক্ষে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে এ কথার উপর যে, যেন তুমি আমার সাথে অংশীদারিত্ব আরোপ করো, যা সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই, তাহলে তাদের দুজনের আনুগত্য করো না। তবে তাদের উভয়ের সাথে ব্যবহার করবে দুনিয়াতে ন্যায়সঙ্গতভাবে/ ভদ্রভাবে। আর অনুসরণ করো তার (অনুসৃত/ অবলম্বিত) পথ, যে আমার দিকে অভিমুখী হয়েছে। তারপর আমারই কাছে তোমাদের ফিরে আসার স্থান। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেবো, তোমরা যা কর্ম করতে সে সম্পর্কে।
৩১:১৬
ইয়া বুনাইয়া = (লুকমান তার পুত্রকে আরো বলেছিলো,) ‘হে আমার পুত্র। ইন্নাহা = নিশ্চয় উহা (= কোন কাজ)। ইন তাকু = যদিও হয়। মিছক্বালা হাব্বাতিন মিন খারদালিন = সরিষার দানার পরিমাণ। ফাতাকুন ফী সখরাতিন = তারপর উহা কোন পাথরখন্ডেও থাকে। আও = অথবা। ফিস সামাওয়াতি = আকাশমন্ডলীতেও থাকে। আও = অথবা। ফিল আরদি = পৃথিবীতেও/ ভূমিতেও থাকে। ইয়া’তি বিহাল্লাহু = আল্লাহ উহা নিয়ে আসবেন। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। লাত্বীফুন খাবীরুন = লতিফ/ সূক্ষদর্শী ও খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।
(লুকমান তার পুত্রকে আরো বলেছিলো,) ‘হে আমার পুত্র, নিশ্চয় উহা (= কোন কাজ) যদিও হয় সরিষার দানার পরিমাণ, তারপর তা কোন পাথরখন্ডেও থাকে অথবা আকাশমন্ডলীতেও থাকে অথবা ভূমিতেও থাকে, আল্লাহ তা নিয়ে আসবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সূক্ষদর্শী ও খবর রাখনেওয়ালা।
৩১:১৭
ইয়া বুনাইয়া = হে আমার পুত্র। আক্বিমিস সলাতি = সালাত কায়েম/ প্রতিষ্ঠা করো। ওয়া’মুর বিল মা’রূফি = আর ‘আমর বিল মা’রূফ’ করো/ ন্যায়কাজের আদেশ দাও। ওয়ানহা আনিল মুনকারি = আর ‘নেহী আনিল মুনকার’ করো/ অন্যায়কাজ থেকে নিষেধ করো। ওয়াসবির আলা মা আসাবাকা = আর তোমার উপর যা (দু:খকষ্ট) আপতিত হয় তার মোকাবেলায় সবর করো (ধৈর্যের সাথে তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করো)। ইন্না = নিশ্চয়। যালিকা = উহা। মিন আযমিল উমূরি = দৃঢ়সংকল্পের/ দৃঢ়সিদ্ধান্তের কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত।
হে আমার পুত্র, সালাত প্রতিষ্ঠা করো আর ন্যায়কাজের আদেশ দাও আর অন্যায়কাজ থেকে নিষেধ করো আর তোমার উপর যা (দু:খকষ্ট) আপতিত হয় তার মোকাবেলায় সবর করো (ধৈর্যের সাথে তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করো)। নিশ্চয় উহা দৃঢ়সংকল্পের/ দৃঢ়সিদ্ধান্তের কাজ সমূহের অন্তর্ভুক্ত।
৩১:১৮
ওয়া = আর। লা তুসা’য়ির খাদ্দাকা = (অহংকারবশত:) তোমার মুখ ফিরিয়ে রেখো না। লিন্নাছি = মানুষের থেকে। ওয়া = আর। লা তামশী = চলাফেরা করো না। ফিল আরদি = পৃথিবীতে। মারাহান = অহংকার বশত:। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। লা ইউহিব্বু = ভালবাসেন না। কুল্লা = প্রত্যেক / কোনো। মুখতালিন = উদ্ধত। ফাখূরা = অহংকারীকে।
আর (অহংকারবশত:) তোমার মুখ ফিরিয়ে রেখো না মানুষের থেকে আর চলাফেরা করো না পৃথিবীতে অহংকার বশত:। নিশ্চয় আল্লাহ ভালবাসেন না কোন উদ্ধত অহংকারীকে।
৩১:১৯
ওয়াক্বসিদ = আর মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। ফী মাশয়িকা = তোমার চাল চলনে। ওয়াগদুদ = আর নিচু করো। ফী সওতিকা = তোমার কন্ঠস্বর। ইন্না = নিশ্চয়। আনকারাল আসওয়াতি = সবচেয়ে কর্কশ স্বর হচ্ছে। লাসওতুল হামীরি = গাধার স্বর।
আর মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো তোমার চাল চলনে। আর নিচু করো তোমার কন্ঠস্বর। নিশ্চয় সবচেয়ে কর্কশ স্বর হচ্ছে গাধার স্বর।
৩১:২০
আলাম তারাও = তোমরা কে দেখনি। আন্নাল্লাহা = যে, আল্লাহ। ছাখখারা = নিয়োজিত করে দিয়েছেন। লাকুম = তোমাদের জন্য। মা = যা কিছু আছে। ফিস সামাওয়াতি = আকাশমন্ডলীতে। ওয়া = আর। মা = যা কিছু আছে। ফিল আরদি = পৃথিবীতে। ওয়া = আর। আসবাআ = সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন। আলাইকুম = তোমাদের উপর। নিআমাহু যহীরাতান ওয়া বাতিনাতান = তাঁর প্রকাশ্য ও গোপন নিয়ামতসমূহ। ওয়া = আর। মিনান্নাছি = মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছে। মাইঁ ইউজাদিলু = যে বিতর্ক করে। ফিল্লাহি = আল্লাহর ব্যাপারে। বিগায়রি ইলমিন = জ্ঞান ছাড়াই। ওয়া = আর। লা হুদান = হুদা/ হিদায়াত ছাড়া। ওয়া = আর। লা কিতাবিম মুনীরিন = আলোকময় /জ্যোতির্ময় কিতাব ছাড়া।
তোমরা কে দেখনি যে, আল্লাহ নিয়োজিত করে দিয়েছেন তোমাদের জন্য যা কিছু আছে আকাশমন্ডলীতে আর যা কিছু আছে পৃথিবীতে আর সম্পূর্ণ করে দিয়েছেন তোমাদের উপর তাঁর প্রকাশ্য ও গোপন নিয়ামতসমূহ। আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছে যে বিতর্ক করে আল্লাহর ব্যাপারে জ্ঞান ছাড়াই আর হিদায়াত ছাড়া আর জ্যোতির্ময় কিতাব ছাড়া।
৩১:২১
ওয়া = আর। ইযা = যখন। ক্বীলা লাহুমুত তাবিয়ূ = তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা ইত্তেবা/ অনুসরণ করো। মা আনযালাল্লাহু = যা আল্লাহ নাযিল করেছেন’। ক্বলূ = তারা তখন বলে। বাল = বরং। নাত্তাবিউ = আমরা ইত্তেবা/ অনুসরণ করবো। মা ওয়াজাদনা আলাইহি = যার উপর আমরা পেয়েছি। আবাআনা = আমাদের বাপদাদাকে। আওয়ালাও কানাশ শায়তানু = তবুও কি, যদিও (উহার মাধ্যমে) শয়তান। ইয়াদঊহুম = তাদেরকে ডাকছে। ইলা আযাবিছ ছায়ীরি = উত্তপ্ত আগুনের শাস্তির দিকে।
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা এর অনুসরণ করো যা আল্লাহ নাযিল করেছেন’। তারা তখন বলে, ‘বরং আমরা তারই অনুসরণ করবো যার উপর আমরা পেয়েছি আমাদের বাপদাদাকে’। তবুও কি, যদিও (উহার মাধ্যমে) শয়তান তাদেরকে ডাকছে উত্তপ্ত আগুনের শাস্তির দিকে?
৩১:২২
ওয়া = আর। মাইঁ ইউসলিম ওয়াজহাহু ইলাল্লাহি = যে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। ওয়া = এ অবস্থায় যে। হুয়া = সে। মুহসিনুন = মুহসিন/ উত্তম আচরণকারী। ফাক্বাদিছতামছাকা = সে-ই ধারণ করেছে। বিল উরওয়াতিল উছক্বা = মজবুত হাতল। ওয়া = আর। ইলাল্লাহি = আল্লাহরই দিকে। আক্বিবাতুল উমূর = বিষয়সমূহের/ সমস্ত কাজের পরিণতি।
আর যে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে, এ অবস্থায় যে, সে উত্তম আচরণকারী, সে-ই ধারণ করেছে মজবুত হাতল। আর আল্লাহরই দিকে যাবতীয় কাজের পরিণতি।
৩১:২৩
ওয়া = আর। মান = যে। কাফারা = কুফর করেছে। ফালা ইয়াহযুনকা = তাহলে তোমাকে যেন দু:খিত না করে। কুফরুহু = তার কুফর। ইলাইনা = আমাদেরই কাছে। মারজিউহুম = তাদের প্রত্যাবর্তনস্থল/ ফিরে আসার স্থান। ফানুনাব্বিউহুম = তারপর আমরা তাদেরকে সংবাদ দেবো/ জানিয়ে দেবো। বিমা আমিলূ = তারা যা আমল/ কাজ করেছিলো তা সম্পর্কে। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। আলীমুম বিযাতিস সুদূরি = সদরসমূহের/ মস্তিষ্কসমূহের ভাবধারাসমূহ সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
আর যে সত্য অস্বীকার করেছে, তাহলে তোমাকে যেন দু:খিত না করে তার অস্বীকারী আচরন। আমাদেরই কাছে তাদের ফিরে আসার স্থান। তারপর আমরা তাদেরকে সংবাদ দেবো, তারা যা কাজ করেছিলো তা সম্পর্কে। নিশ্চয় আল্লাহ মনের ভাবধারাসমূহ সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
৩১:২৪
নুমাত্তিউহুম ক্বালীলান = আমরা তাদেরকে কিছু ভোগসামগ্রী দেবো। ছুম্মা = তারপর। নাদ্বতররুহুম = আমরা তাদেরকে টেনে নিয়ে যাবো। ইলা আযাবিন গালীযিন = আযাবুন গালীযের/ কঠিন শাস্তির দিকে।
আমরা তাদেরকে কিছু ভোগসামগ্রী দেবো। তারপর আমরা তাদেরকে টেনে নিয়ে যাবো কঠিন শাস্তির দিকে।
৩১:২৫
ওয়া = আর। লাইন = যদি। ছাআলতাহুম = তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো। মান = কে। খালাক্বাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা = সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী। লাইয়াক্বূলুন্নাল্লাহু = তাহলে তারা শীঘ্রই বলবে, ‘আল্লাহ’। ক্বুলিল হামদুলিল্লাহি = বলো, ‘আল হামদুলিল্লাহ/ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। বাল = বরং। আকছারুহুম = তাদের অধিকাংশই। লা ইয়া’লামূনা = জ্ঞান রাখে না।
আর যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করো, ‘কে সৃষ্টি করেছেন আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী? তাহলে তারা শীঘ্রই বলবে, ‘আল্লাহ’। বলো, ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য’। বরং তাদের অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না।
৩১:২৬
লিল্লাহি = আল্লাহরই অধিকারভুক্ত। মা ফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি = যা কিছু আছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। হুয়াল গানিয়্যুল হামীদু = গণি/ অমুখাপেক্ষী ও হামীদ/ প্রশংসিত।
আল্লাহরই অধিকারভুক্ত যা কিছু আছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে। নিশ্চয় আল্লাহ অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসিত।
৩১:২৭
ওয়া = আর। লাও আন্না = যদিও হয়। মা ফিল আরদি মিন শাজারাতিন = পৃথিবীতে যত গাছ আছে তার সব। আক্বলামু = কলম। ওয়াল বাহরু = আর (দোয়াত হয়) যত সাগর আছে। ইয়ামুদ্দুহূ = উহাকে বাড়িয়ে দেয়। মিম বা’দিহী = তারপর। ছাবআতু আবহুরিন = আরো সাত সাগর। মা নাফিদাত = তবুও (লিখে) শেষ হবে না। কালিমাতুল্লাহি = আল্লাহর কালেমাসমূহ/ বাণীসমূহ (= আল্লাহর সৃষ্টিকর্ম, শক্তি জ্ঞান ও দয়ার নিদর্শনের কথা)। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। আযীযুন হাকীমুন = আযীয/ মহাশক্তিমান ও হাকীম/ মহাবিজ্ঞ।
আর যদিও হয় পৃথিবীতে যত গাছ আছে তার সব কলম, আর (দোয়াত হয়) যত সাগর আছে, উহাকে বাড়িয়ে দেয় তারপর আরো সাত সাগর, তবুও (লিখে) শেষ হবে না আল্লাহর বাণীসমূহ (= আল্লাহর সৃষ্টিকর্ম, শক্তি, জ্ঞান ও দয়ার নিদর্শনের কথা)। নিশ্চয় আল্লাহ মহাশক্তিমান ও মহাবিজ্ঞ।
৩১:২৮
মা খালক্বুকুম = আর তোমাদের সৃষ্টি নয়। ওয়া = আর। লা বা’ছুকুম = তোমাদের পুনরুত্থানও নয়। ইল্লা কানাফসিন ওয়াহিদাতিন = একটিমাত্র নফসের/ প্রাণীর (সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের) মতো। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। ছামীউম বাসীরুন = সামী’/ সর্বশ্রোতা ও বাসীর/ সর্বদ্রষ্টা।
আর তোমাদের সৃষ্টি নয় আর তোমাদের পুনরুত্থানও নয়, একটিমাত্র প্রাণের (সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের) মতো। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।
৩১:২৯
আলাম তারা = তুমি কি দেখনি। আন্নাল্লাহা = যে, আল্লাহ। ইউলিযুল্লাইলা = রাতকে প্রবেশ করান। ফিন্নাহারি = দিনের মধ্যে। ওয়া = আর। ইউলিযুন্নাহারা = দিনকে প্রবেশ করান। ফিল্লাইলি = রাতের মধ্যে। ওয়া = আর। ছাখখারাশ শামছা ওয়াল ক্বামারা = তিনি নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে ও চন্দ্রকে। কুল্লুইঁ ইয়াজরী = প্রত্যেকেই চলছে। ইলা আজালিম মুছাম্মা = আজালুম মুসাম্মা/ সুনির্দিষ্ট শেষ সময়সীমার দিকে। ওয়া = আর। আন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। বিমা তা’মালূনা খাবীরুন = তোমরা যা আমল/ কাজ করছো তা সম্পর্কে খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ রাতকে প্রবেশ করান দিনের মধ্যে আর দিনকে প্রবেশ করান রাতের মধ্যে। আর তিনি নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে ও চন্দ্রকে। প্রত্যেকেই চলছে সুনির্দিষ্ট শেষ সময়সীমার দিকে। আর নিশ্চয় আল্লাহ তোমরা যা কাজ করছো তা সম্পর্কে খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।
৩১:৩০
যালিকা = উহা। বিআন্নাল্লাহা = এজন্য যে, আল্লাহ। হুয়াল হাক্বক্বু = তিনিই হক/ সত্য। ওয়া = আর। আন্না = এজন্যও যে। মা ইয়াদঊনা = যাদেরকে তারা ডাকে। মিন দূনিহিল বাত্বিলু = তাঁকে বাদ দিয়ে তারা বাতিল/ অলীক/মিথ্যা। ওয়া = আর। আন্নাল্লাহা = এজন্যও যে, আল্লাহ। হুয়াল আলীয়্যুল কাবীরু = তিনিই আলী/ সমুন্নত ও কাবীর/ সর্বশ্রেষ্ঠ।
উহা এজন্য যে, আল্লাহই সত্য। আর এজন্যও যে, যাদেরকে তারা ডাকে তাঁকে বাদ দিয়ে তারা অলীক। আর এজন্যও যে, আল্লাহই সমুন্নত ও সর্বশ্রেষ্ঠ।
৩১:৩১
আলাম তারা = তুমি কি দেখনি। আন্নাল ফুলকা = যে, নৌযান। তাজরী = চলতে থাকে। ফিল বাহরি = সাগরের মধ্যে। বিনি’মাতিল্লাহি = আল্লাহর নেয়ামতে। লিইউরিয়াকুম = যেন তিনি তোমাদেরকে দেখান। মিন আয়াতিহী = তাঁর আয়াতসমূহ/ নিদর্শনসমূহ থেকে। ইন্না = নিশ্চয়। ফী যালিকা = উহাতে আছে। লাআয়াতিন = আয়াতসমূহ/ নিদর্শনসমূহ। লিকুল্লি সব্বারিন শাকূরিন = প্রত্যেক সবরকারী/ ধৈর্যশীল ও শোকরকারী/ কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।
তুমি কি দেখনি যে, নৌযান চলতে থাকে সাগরের মধ্যে আল্লাহর নেয়ামতে, যেন তিনি তোমাদেরকে দেখান তাঁর নিদর্শনসমূহ থেকে। নিশ্চয় উহাতে আছে নিদর্শনসমূহ প্রত্যেক ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য।
৩১:৩২
ওয়া = আর। ইযা = যখন। গাশিয়াহুম = তাদেরকে আচ্ছন্ন করে। মাওজুন = ঢেউ। কাযযুলালি = মেঘচ্ছায়ার মতো। দাআউল্লাহা = তখন তারা আল্লাহকেই ডাকে। মুখলিসীনা লাহুদ্দ্বীনা = তাঁরই জন্য দ্বীনকে খালেস/ খাঁটি করে। ফালাম্মা = তারপর যখন। নাজ্জাহুম = তিনি তাদেরকে নাজাত/ মুক্তি দেন। ইলাল বাররি = স্থলভাগের দিকে। ফামিনহুম = তখন তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ। মুক্বতাসিদুন = মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী হয়। ওয়া = আর। মা ইয়াজহাদু = কেউই অস্বীকার করে না। বিআয়াতিনা = আমাদের আয়াতসমূহকে। ইল্লা কুল্লু খাত্তারিন কাফূরিন = প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া।
আর যখন তাদেরকে আচ্ছন্ন করে ঢেউ, মেঘচ্ছায়ার মতো; তখন তারা আল্লাহকেই ডাকে তাঁরই জন্য দ্বীনকে খাঁটি করে। তারপর যখন তিনি তাদেরকে মুক্তি দেন স্থলভাগের দিকে, তখন তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মধ্যমপন্থা অবলম্বনকারী হয়। আর কেউই অস্বীকার করে না আমাদের আয়াতসমূহকে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি ছাড়া।
৩১:৩৩
ইয়া আইয়ুহান্নাছুত তাক্বূ = হে মানুষ, তোমরা ভয় করো। রব্বাকুম = তোমাদের রবকে। ওয়াখশাও = আর ভয় করো। ইয়াওমান = সেদিনকে যেদিন। লা ইয়াজযী = প্রতিদান দেয়ার কাজে আসবে না। ওয়ালিদান = কোন পিতা। আওঁ ওয়ালাদিহী = তার সন্তানের ব্যাপারে। ওয়া = আর। লা মাওলূদুন = না কোন সন্তান। হুয়া জাযিন = প্রতিদানদাতা হবে। আওঁ ওয়ালিদিহী = তার পিতার ব্যাপারে। সাইয়ান = কিছুমাত্রও। ইন্না = নিশ্চয়। ওয়া’দাল্লাহি = আল্লাহর ওয়াদা। হাক্বক্বুন = হক্ব/ সত্য। ফালা তাগুররান্নাকুমুল হায়াতুদ দুনইয়া = সুতরাং যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে হায়াতুদ দুনিয়া/ পার্থিব জীবন। ওয়ালা তাগুরান্নাকুম = আর তোমাদেরকে যেন ধোঁকায় না ফেলে। বিল্লাহিল গারূরু = আল্লাহর ব্যাপারে কোন ধোঁকাবাজ।
হে মানুষ, তোমরা ভয় করো তোমাদের রবকে আর ভয় করো সেদিনকে যেদিন প্রতিদান দেয়ার কাজে আসবে না কোন পিতা তার সন্তানের ব্যাপারে আর না কোন সন্তান প্রতিদানদাতা হবে তার পিতার ব্যাপারে, কিছুমাত্রও। নিশ্চয় আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য। সুতরাং যেন তোমাদেরকে ধোঁকায় না ফেলে পার্থিব জীবন। আর তোমাদেরকে যেন ধোঁকায় না ফেলে আল্লাহর ব্যাপারে কোন ধোঁকাবাজ।
৩১:৩৪
ইন্নাল্লাহা ইনদাহু = নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই আছে। ইলমুছ ছায়াতি = সায়াতের/ প্রলয়মুহুর্তের জ্ঞান। ওয়া = আর। ইউনাযযিলুল গায়ছা = তিনিই নাযিল/ বর্ষণ করেন বৃষ্টি। ওয়া = আর। ইয়া’লামু = তিনিই জানেন। মা ফিল আরহামি = আরহামে/ গর্ভসমূহে কী আছে? ওয়া = আর। মা তাদরী নাফসুন = কোন প্রাণীই জানে না। মা যা তাকছিবু = সে কী উপার্জন করবে। গাদান = আগামী কাল। ওয়া = আর। মা তাদরী নাফসুম বিআইয়ি আরদিন = কোন প্রাণীই জানে না কোন ভূমিতে। তামূতু = সে মৃত্যুবরণ করবে। ইন্নাল্লাহা = নিশ্চয় আল্লাহ। আলীমুন খাবীরুন = আলীম/ সর্বজ্ঞাতা ও খাবীর (= যিনি খবর রাখেন)।
নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই আছে প্রলয়মুহুর্তের জ্ঞান। আর তিনিই বর্ষণ করেন বৃষ্টি। আর তিনিই জানেন গর্ভসমূহে কী আছে? আর কোন প্রাণীই জানে না সে কী উপার্জন করবে আগামী কাল। আর কোন প্রাণীই জানে না কোন ভূমিতে সে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা ও খবর রাখনেওয়ালা।