ইক্বরার লক্ষ্য হলো বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য স্রষ্টার ঐশী বাণীর সমন্বিত অধ্যয়ন ও সার্বজনীন প্রয়োগের জন্য জ্ঞানদীপ্ত অনুশীলন।
উদ্দেশ্য
ইক্বরার উদ্দেশ্য হলো কুরআনের বাণীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ অনুধাবনের জন্য টেকসই ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জীবন ও সমাজের প্রায়োগিকতার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো নির্মাণ।
প্রকাশিত বইসমূহ
আহমেদ আল রাইসুনির "আল-শুরা" বইয়ের রিভিউ
আহমেদ আল রাইসুনি আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর লেখা "আল-শুরা" (Al-Shura: The Qur'anic Principle of Consultation) বইটি ইসলামী রাজনৈতিক, সামাজিক এবং নৈতিক দর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। বইটি বিশেষভাবে ইসলামে পরামর্শমূলক শাসনব্যবস্থা বা শুরার ধারণা, এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এবং আধুনিক প্রাসঙ্গিকতাকে বিশ্লেষণ করে।
বইয়ের মূল বিষয়বস্তু
শুরার সংজ্ঞা ও মৌলিকত্ব রাসুনি শুরার ইসলামী সংজ্ঞা এবং এর কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক ভিত্তি আলোচনা করেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, শুরা শুধু পরামর্শ দেওয়া নয়; এটি একটি দায়বদ্ধ এবং অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া, যা শাসন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মুসলিম সমাজে প্রয়োগ করা উচিত।
ইতিহাসে শুরার প্রয়োগ ইসলামের প্রথম যুগে (বিশেষত রাসুলুল্লাহ ﷺ ও খোলাফায়ে রাশিদিনদের সময়ে) শুরার কিভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করেছেন। রাসুনি দেখিয়েছেন, কীভাবে ঐতিহাসিক চর্চাগুলি ইসলামের মূল চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং কোথায় কোথায় বিচ্যুতি ঘটেছে।
আধুনিক প্রেক্ষাপটে শুরা আধুনিক গণতন্ত্র এবং শুরার ধারণার মধ্যে তুলনা করে তিনি তুলে ধরেছেন, কীভাবে ইসলামী শাসনব্যবস্থায় শুরার নীতিগুলো আধুনিক সময়েও প্রাসঙ্গিক। তিনি আলোচনা করেছেন, কীভাবে এই নীতিগুলো ইসলামী সমাজকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়পরায়ণতায় উন্নীত করতে পারে।
বইয়ের বিশেষত্ব
তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক বিশ্লেষণ রাসুনি শুধু তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ নয়, বরং শুরার বাস্তবিক প্রয়োগ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। এতে বইটি একটি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দিক উভয়ের সমন্বয় ঘটিয়েছে।
আধুনিক সমস্যার সমাধানে শুরা তিনি বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক এবং প্রশাসনিক সমস্যাগুলোর সমাধানে শুরার প্রাসঙ্গিকতা দেখিয়েছেন। বিশেষত মুসলিম দেশগুলোর রাজনৈতিক সংকটের জন্য তিনি শুরার নীতিকে বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
সহজ ভাষা ও যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ বইটি গভীর তাত্ত্বিক হলেও, সহজ ভাষায় লেখা। বিভিন্ন কুরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি এবং ঐতিহাসিক ঘটনার উল্লেখ বইটিকে প্রমাণসমৃদ্ধ করেছে।
উপসংহারের মূল বিষয়বস্তু
আহমেদ আল রাইসুনি তার বই "আল-শুরা"-এর উপসংহারে শুরা (পরামর্শমূলক শাসনব্যবস্থা) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতিমালা তুলে ধরেছেন। তিনি বইটির আলোচনাকে একটি নির্ধারিত উপসংহারে নিয়ে যান, যা ইসলামী শাসনব্যবস্থায় শুরার বাস্তব প্রয়োগ এবং আধুনিক প্রাসঙ্গিকতাকে কেন্দ্র করে।
শুরার মূল চেতনা রাসুনি জোর দিয়েছেন যে, শুরা ইসলামের মৌলিক একটি নীতি, যা শুধুমাত্র শাসকদের দায়িত্ব নয়, বরং পুরো উম্মাহর অংশগ্রহণের একটি প্রক্রিয়া। শুরার মাধ্যমে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব।
আধুনিক শাসনব্যবস্থায় শুরার গুরুত্ব রাসুনি বলেছেন, আধুনিক মুসলিম সমাজে শুরার ধারণাকে নতুনভাবে ব্যাখ্যা এবং বাস্তবায়ন করা জরুরি। তিনি শুরাকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন, তবে শুরার দায়িত্বশীলতা ও নৈতিকতাকে আরও উচ্চতর মনে করেন।
শুরা ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য তিনি উল্লেখ করেছেন যে, শুরা শুধু একটি শাসনব্যবস্থা নয়; এটি উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির ভিত্তি। শুরার মাধ্যমে মতপার্থক্য ও দ্বন্দ্বের সমাধান করা সম্ভব।
প্রয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ রাসুনি শুরার কার্যকর বাস্তবায়নে মুসলিম সমাজের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা বলেছেন। বিশেষত, মুসলিম দেশগুলোর রাজনৈতিক অস্থিরতা, দমনমূলক শাসনব্যবস্থা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব শুরার প্রয়োগে বড় প্রতিবন্ধকতা। তিনি প্রস্তাব করেছেন যে, শুরাকে একটি নৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ইসলামী আদর্শের সঙ্গে শুরার সম্পর্ক রাসুনি মনে করেন, শুরা ইসলামী আইন এবং নৈতিকতার মূল ভিত্তি। তিনি বলেন, শুরার মাধ্যমে মুসলিম সমাজ কেবল অতীতের গৌরবময় সময়েই ফিরে যেতে পারে না, বরং ভবিষ্যতেও নেতৃত্ব দেওয়ার উপযুক্ত হতে পারে।
উপসংহারের বার্তা
আহমেদ আল রাসুনি তার উপসংহারে একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছেন:
শুরা হলো ইসলামের নৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক শক্তি।
এটি ব্যক্তির স্বাধিকার ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার একটি প্রক্রিয়া।
আধুনিক যুগে শুরার পুনরুজ্জীবন এবং সঠিক প্রয়োগ মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।
তিনি এই বইয়ের মাধ্যমে পাঠকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যেন তারা শুরার মৌলিক নীতি ও আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করার জন্য উদ্যোগ নেয় এবং ইসলামের সত্যিকারের চেতনা পুনরুদ্ধার করে।
উপসংহারটি মূলত ইসলামের আদর্শিক নীতি ও আধুনিক সমাজের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করার আহ্বান।
সমালোচনা
কিছু ক্ষেত্রে, রাসুনি শুরার ব্যাপারে অতিরিক্ত আদর্শিক হয়ে পড়েছেন। আধুনিক মুসলিম দেশগুলোর বাস্তব পরিস্থিতি এবং তাদের বহুমাত্রিক সমস্যার জন্য শুরার একক সমাধান যথেষ্ট কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে।
বইটিতে অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যবস্থার (যেমন, আধুনিক গণতন্ত্র) দুর্বলতাগুলো বিশ্লেষণ করা হলেও, এগুলোর শক্তি বা ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা তুলনামূলকভাবে কম।
শেষ কথা
"আল-শুরা" একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, যা ইসলামী শাসনব্যবস্থার মূল ধারণাগুলো নিয়ে চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। এটি পড়লে বোঝা যায়, ইসলামের মূলনীতিগুলো শুধু অতীতের জন্য নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যও কার্যকর হতে পারে। যারা ইসলামী রাজনীতি, সমাজনীতি এবং নৈতিক দর্শনের উপর আগ্রহী, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য।
ব্যক্তিগত পাঠের জন্য (ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য নয়) বইটির পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারেন:
২০০৭ সালের ১২ আগস্ট আল জাজিরা টেলিভিশনের “শারিয়া ও জীবন” অনুষ্ঠানে 'শূরা ও গণতন্ত্র' বিষয়ে তিনি একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। সেখান থেকে খুবই ছোট একটা অংশ অনুবাদ করা হয়েছে। পাবলিশ তারিখ ডিসেম্বর ২৬, ২০২৬
আহমেদ আল রাইসুনি (Ahmed Al-Raissouni) একজন বিশিষ্ট আধুনিক ইসলামী চিন্তাবিদ, ফিকহ বিশেষজ্ঞ এবং লেখক। তিনি বিশেষ করে মাকাসিদ আল-শারিয়া (ইসলামী আইনশাস্ত্রের উদ্দেশ্য) বিষয়ে একজন অগ্রগামী বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তার গবেষণা এবং লেখালেখি সমসাময়িক ইসলামি চিন্তার জটিল বিষয়গুলোকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেছে। তিনি ইসলামি জ্ঞান, আইনশাস্ত্র এবং সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যাগুলোর উপর গভীর বিশ্লেষণ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন ও শিক্ষা
আহমেদ আল রাসুনি (জন্ম ১৯৫৩) মরক্কোর একজন নাগরিক। তিনি ইসলামি আইনশাস্ত্র এবং শরিয়া অধ্যয়নের মাধ্যমে তার একাডেমিক জীবন শুরু করেন। তিনি মরক্কোর বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকহ এবং উসুল অধ্যয়নে ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন।
পেশাগত জীবন
মাকাসিদ আল-শারিয়ার বিশেষজ্ঞ তিনি মাকাসিদ আল-শারিয়া বিষয়ে তার বিশেষ অবদানের জন্য পরিচিত। মাকাসিদের মাধ্যমে ইসলামি আইনশাস্ত্রকে আধুনিক চাহিদা ও সমস্যার সঙ্গে মানানসই করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেন।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স আহমেদ আল রাসুনি এই সংগঠনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে সংগঠনটি ইসলামি চিন্তাধারায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছে।
শিক্ষক ও গবেষক তিনি মরক্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং গবেষণা করেছেন। তার কাজ বিশেষ করে ইসলামী আইন এবং আধুনিক রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রেখেছে।
বিশিষ্ট লেখা ও অবদান
"আল-শুরা" শুরা (পরামর্শ) ব্যবস্থা নিয়ে এই বইটি তার অন্যতম বিখ্যাত কাজ। এখানে তিনি ইসলামের শাসনব্যবস্থা এবং পরামর্শ প্রক্রিয়ার ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
"মাকাসিদ আল-শারিয়া" এই বিষয়ে তার অনেক কাজ রয়েছে। তিনি দেখিয়েছেন, কীভাবে ইসলামি আইনশাস্ত্র মানবজাতির কল্যাণকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।
সমসাময়িক ইস্যুতে তার দৃষ্টিভঙ্গি তিনি আধুনিক সমস্যাগুলোর (যেমন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং শাসনব্যবস্থা) সঙ্গে ইসলামি চিন্তার মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রথাগত ইসলামি চিন্তাধারা এবং আধুনিক সমস্যার সমাধানে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করে।
চিন্তাধারা ও প্রভাব
মধ্যপন্থী ইসলামি চিন্তা তিনি ইসলামে মধ্যপন্থার ধারণাকে জোর দিয়ে তুলে ধরেছেন। তার মতে, ইসলামের মূলনীতি এবং আধুনিক বাস্তবতা একত্রে মিলে কাজ করতে পারে।
ইসলামি পুনর্জাগরণে ভূমিকা রাসুনি বিশ্বাস করেন, ইসলামি চিন্তার পুনর্জাগরণ মাকাসিদকে নতুনভাবে উপলব্ধি এবং প্রয়োগ করার মাধ্যমে সম্ভব। তার কাজ এ দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সমসাময়িক ইসলামি ফিকহ তিনি সমসাময়িক ইস্যুতে ফিকহকে প্রাসঙ্গিক করার জন্য কাজ করেছেন, যা মুসলিম উম্মাহর সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
কুরআন গবেষক ড. সিরাজ ইসলামের গবেষণা ও লেখনী থেকে অনুবাদ জিব্রাইল হলেন আমাদের ভেতরে অনুপ্রেরণার শক্তি জিব্রাইল হলেন একটি কুরআনের রূপক (নোট ১) যা আমাদের মনের ভেতরে অনুপ্রেরণার প্রাকৃতিক শক্তিকে প্রতিনিধিত্ব করে। আমাদের গভীর চিন্তাভাবনার সময় এটি কার্যকর হয়ে ওঠে যখন এটি আমাদের কাছে সচেতনতা এবং অন্তর্দৃষ্টির ঝলক প্রকাশ করে। কুরআনে এই নামটি তিনবার এসেছে […]
সাধারন ধর্ম বিশ্বাসীদের মধ্যে একটি কমন ধারনা হলো: ইসলামের সংবিধান হলো কুরআন এবং আধুনিক সময়ে যেসব সেকুলার সংবিধান করা হয় তা হলো "তাগুত"। বিষয়টি কি সত্যিই এরকম সাদা কালো? কুরআন কি সংবিধানি? একজন ইসলামে বিশ্বাসীর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে এই প্রশ্নের মিমাংসায় পৌছতে হলে আমাদের প্রথমে কয়েকটি কনসেপ্ট ক্লিয়ার করে এগুতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে […]
মুসলিমদের জীবন বিধানের সকল মূলনীতি কোরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘আর তোমার ওপর যে কিতাব (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে তাতে রয়েছে সকল বিষয়ের বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলিমদের জন্য সুসংবাদ।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ৮৯) দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ দেশের মুসলিমদের কোরআন দেখে শুদ্ধ করে পড়ার প্রতি গুরুত্ব থাকলেও ইসলামি জীবন বিধানের মৌলিক উৎস […]
১৯৭১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের জন্য ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে’ যে মূলনীতিসমূহ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য যে সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ কর্তৃক পেশ করা হয়েছে তাতে অন্যতম তিনটি মূলনীতি হলো, ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’। বস্তুত এই মূলনীতিসমূহ […]